Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


তুরস্কে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার শিশুসহ ৩ জন

Main Image

শিশু ইয়াজিতকে জীবিত উদ্ধারের আশায় ধ্বংসাবশেষের কাছে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন মা


তুরস্কে গাজিয়ানটেপ প্রদেশে ভূমিকম্পের তিন দিন পর ধ্বংসস্তূপ থেকে এক শিশু ও দুই নারীকে উদ্ধার করা হয়ে। তারা হলেন ফাতমা দেমির, তার বোন মার্ভে ও আট বছরের ইয়াজিত চাকমা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার তাদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে সিএনএন।

প্রথম ভূমিকম্প আঘাত হানার পর বৃহস্পতিবার তুরস্কের হাতায়ে শহরের ধ্বংসস্তূপ থেকে ইয়াজিত চাকমাককে উদ্ধার করা হয়। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে তাকে যখন বের করে আনা হয়, তখন তার চোখে-মুখে ছিল আতঙ্ক আর পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকুতি।

গেটি ইমেজের আলোকচিত্রী বুরাক কারা ওই শিশুকে নাটকীয়ভাবে উদ্ধারের সিরিজ ছবি তুলেছেন। ছবিতে ধ্বংসস্তূপ থেকে ইয়াজিতকে উদ্ধার এবং তারপর তার মায়ের কাছে তুলে দেওয়া পর্যন্ত দৃশ্য কতটা রোমহর্ষক ছিল তা পরিষ্কার ফুটে উঠেছে।

শিশুটিকে ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে বের করার পর একজন একজন করে উদ্ধারকর্মীর কাঁধ হয়ে তার মায়ের কোলে গিয়ে পৌঁছায়। ইয়াজিতকে উদ্ধারের সময় তার মা ভবনের ধ্বংসাবশেষের কাছে সন্তানকে জীবিত উদ্ধারের আশায় অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন।

অন্যদিকে গাজিয়ানটেপ থেকে উদ্ধার ফাতমা ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ভূমিকম্পের সময় আত্মীয় হুসরা আমার পাশে ছিলেন। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে মেঝেতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কংক্রিটের একটি স্ল্যাব আমার ওপরে এসে পড়ে। আমি বেশ কয়েকবার হুসরাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেও পাইনি।

উদ্ধারকারী দল দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর গাজিয়ানটেপে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। সেখানে ধসে পড়া ভবনগুলোর নিচে অনেক মানুষ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত ১৫ হাজার ৩৮৩তে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তুরস্কে ১২ হাজার ৩৯১ ও সিরিয়ায় ২ হাজার ৯৯২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন