Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


আমাদের একজন অধ্যাপক ডা. রাশীদা ম্যাডাম আছেন

Main Image

অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম


আমাদের একজন অধ্যাপক ডা. রাশীদা ম্যাডাম আছেন...

যিনি সম্প্রতি রয়েল কলেজ থেকে সম্মানসূচক FRCOG ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
আমার একজন শিক্ষক, অভিভাবক হিসেবে তাঁর এ অর্জনে অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত আমি...

তিনি বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় নারী ও পুরুষকে আশার আলো দেখান...পথ দেখান জুনিয়র চিকিৎসকদের...নিজ হাতে সংসার সাজান...আবার দু'হাত ভরে সাহায্য করেন বিপন্ন মানুষকে।

লন্ডনের এই প্রেস্টিজিয়াস মঞ্চে তিনি 'আরিজ ফাউন্ডেশন'কেও আলোকিত করেছেন।

চ্যারিটির অন্তর্ভুক্ত আছে স্কুল, হাসপাতাল, এতিমখানা, দুর্যোগ, বাস্তুহারা ও পথশিশু। কৃতজ্ঞতা ও দোয়া আমাদের গর্বের এই মানুষটার জন্যে।

এক নজরে অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম:

অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম একজন স্বনামধন্য প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ এবং ইনফার্টিলিটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। তিনি ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় বাংলাদেশের অন্যতম পথিকৃৎ এবং ইনফার্টিলিটি কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (আইসিআরসি) এর প্রতিষ্ঠাতা।

অধ্যাপক ডা. রাশিদা বেগম ১৯৮২ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্নাতক এবং ১৯৯৪ সালে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগে ফেলোশিপ সম্পন্ন করেন।

তিনি ১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্যের ডান্ডি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিকেল শিক্ষায় ডিপ্লোমা করেন এবং ১৯৯৯ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় কাজ শুরুর পূর্বে ডা. রাশিদা বেগম যুক্তরাজ্য এবং সিঙ্গাপুর থেকে বন্ধ্যাত্ব এবং এসিস্ট্যাড রিপ্রোডাক্টিভ টেকনোলজি (এআরটি) বিষয়ক প্রশিক্ষণ নেন।

২০০৬ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ লিডস থেকে ক্লিনিক্যাল ভ্রূণবিদ্যায় এমএসসি সম্পন্ন করেন।

২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন।

৮৮ টি গবেষণাপত্র ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। আরও ৪টি প্রকাশনাধীন। লিখেছেন দুটো টেক্সট বুক। একটি পোস্টগ্রাজুয়েট এবং আর একটি আন্ডার গ্রাজুয়েট স্টুডেন্টদের জন্য। সচেতনতার জন্য রোগীদের জন্য বাংলায় এন্ডোমেট্রিওসিস এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোমের উপর বই লিখেছেন।

১২ টি অন্য গবেষকদের গবেষণার সাথে তার গবেষণার বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে ইউরোপিয়ান ফার্টিলিটি সোসাইটি অব হিউমান রিপ্রোডাকশন এন্ড এম্ব্রায়োলজি লেট্রোজলকে ১ম সারির ওভুলেশন ইনডাকশনের ড্রাগ হিসেবে মনোনীত করে।

২০০৫ সালে সেরা গবেষণার জন্য এশিয়া ওসেনিয়া ফেডারেশন অব অবস্টেট্রিক্স এন্ড গাইনোকোলজি (এওএফওজি) থেকে ‘ইয়াং সায়েন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন। তিনি এই সম্মাননা লাভ করা বাংলাদেশের প্রথম স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।

একই সালে নারীকণ্ঠ ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে ‘শাইনিং পার্সোনালিটি অ্যাওয়ার্ড’ পান।

২০০৮ সালে দেশপ্রেমী সাংস্কৃতিক সংঘ ডা. রাশিদা বেগমকে ‘বেস্ট ফার্টিলিটি স্পেশালিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ এ ভূষিত করে।

২০১০ সালে তিনি ‘হেলেন কেলার’ গোল্ড মেডেল অর্জন করেন।

ইনফার্টিলিটি চিকিৎসায় অবদানের জন্য ২০১৬ সালে অবস্টেট্রিক্স এন্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি (ওজিএসবি) এই গুণী চিকিৎসককে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে।

তিনি ২০১৭ সালে একইসাথে সুইজারল্যান্ডের ইউরোপিয়ান বিজনেস এন্ড মেডিকেল এসোসিয়েশন প্রদত্ত ‘রোজ অফ প্যারাসেলসাস অ্যাওয়ার্ড’ এবং সাহেরা হাসান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার পান।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ রয়েল কলেজ অফ অবস্টেট্রিসিয়ান এন্ড গাইনোকোলজিস্ট ২০২১ সালে ডা. রাশিদা বেগমকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।

আরও পড়ুন