Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


ওমিক্রনে দীর্ঘ কভিডের ঝুঁকি কম

Main Image

রোগীদের বয়স ও শেষ টিকা নেওয়ার সময়ের ভিত্তিতে দীর্ঘ কভিডের হারে এ তারতম্য দেখা গেছে


করোনাভাইরাসের অন্য ধরনগুলোর তুলনায় ওমিক্রনের কারণে লং কভিড বা দীর্ঘ কভিডের ঝুঁকি কম। জোয়ি কভিড উপসর্গ গবেষণা অ্যাপের মাধ্যমে নেওয়া তথ্য ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা এমন তথ্য পেয়েছেন।

কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা বলছেন, ডেল্টার তুলনায় যুক্তরাজ্যে ওমিক্রন ঢেউয়ের সময় আক্রান্তদের মধ্যে দীর্ঘ কভিডের হার ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম ছিল।

রোগীদের বয়স ও শেষ টিকা নেওয়ার সময়ের ভিত্তিতে দীর্ঘ কভিডের হারে এ তারতম্য দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

কেউ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার পর, তা গুরুতর বা মৃদু যাই হোক না কেন- ১২ সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও রোগীর দেহে ক্লান্তি থেকে শুরু করে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়াসহ নানামাত্রিক অসুস্থতার লক্ষণ রয়ে গেলে ধরে নেওয়া যায় তার লং বা দীর্ঘ কভিড হয়েছে।

লম্বা সময় ধরে থাকা এই কভিড রোগীকে ভয়াবহ দুর্বল করে দিতে পারে। ক্রমশই এটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে স্বীকৃত হয়ে উঠছে। করোনাভাইরাসের অন্য ধরনগুলোর মতো ওমিক্রনও দীর্ঘ কভিডের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি হয়ে এসেছে কিনা, তা বের করতে গবেষকদের দৌড়ঝাঁপও বাড়ছে।

কিংস কলেজের গবেষণাটিই সম্ভবত প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা যেখানে ওমিক্রন যে দীর্ঘ কভিডের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি নয় তা দেখানো হয়েছে। অবশ্য এর মানে এই নয় যে, দীর্ঘ কভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে, বলছে গবেষণা দল।

ওমিক্রনের ঢেউয়ের সময় দীর্ঘ কভিডের ঝুঁকি কম থাকলেও অনেক বেশি মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ায় আদতে ভোগান্তি পোহানো রোগীর সংখ্যা বেশিই আছে।

গবেষকদলের প্রধান ড. ক্লেয়ার স্টিভস বলেন, ঝুঁকি কম ভালো খবর। কিন্তু দয়া করে দীর্ঘ কভিডের জন্য যেসব সেবা আছে তার কোনোটিই বন্ধ করবেন না।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, মে মাসে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটিতে ৪ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের দীর্ঘ কভিড দেখা গেছে, যা দেশটির মোট দীর্ঘ কভিড রোগীর ২৪ শতাংশ।

ওমিক্রনে দীর্ঘ কভিডের ঝুঁকি কম কেন, তা জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছে গবেষক দলটি।

আরও পড়ুন