Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


জ্বরে আরও ২১ মৃত্যু, পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর: কিম

Main Image

সংকটের জন্য তিনি চিকিৎসা এবং আমলাতন্ত্রের অক্ষমতাকে দায়ী করেন


উত্তর কোরিয়ায় জ্বরে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুদিন আগে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানোর পর দেশটিতে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। খবর এএফপির।

রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএ- এর কর্মকর্তারা শুক্রবার (১৩ মে) নতুন ২১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে। তাদের মধ্যে কতজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, তা জানানো হয়নি। তবে এ সময়ে আরও ১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৪০ জন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়লেও এতদিন সংক্রমণের কথা স্বীকার করেনি উত্তর কোরিয়া। বরং শুরু থেকেই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছিলেন।

গত ১২ মে প্রথমে শনাক্ত ও পরের দিন ১৩ মে একজনের মৃত্যুর তথ্য স্বীকার করে পিয়ংইয়ং। কেসিএনএ জানায়, উত্তর কোরিয়ায় শুক্রবার ৬ ব্যক্তি জ্বরে ভুগে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজনের শরীরে করোনার ওমিক্রন ধরন মিলেছে।

এদিকে উত্তর কোরিয়ায় দ্রুত ছড়াতে থাকা করোনা সংক্রমণকে দেশের জন্য ভয়ানক বিপর্যয় আখ্যা দিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। শনিবার এক জরুরি বৈঠকে সংক্রমণ মোকাবিলায় সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

উত্তর কোরিয়ার জনগোষ্ঠী আড়াই কোটি। ভ্যাকসিন কর্মসূচির অপ্রতুলতা এবং দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে পুরো জনগোষ্ঠী ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় ৫ লাখ মানুষ ব্যাখ্যাতীত জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। টেস্ট করার সক্ষমতা কম হওয়ায় বেশিরভাগ করোনা আক্রান্তই নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে শনিবারের বৈঠকে কিম জং উন বলেন, ‘সংক্রামক মহামারীর বিস্তার আমাদের দেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অশান্তি।’ এ সংকটের জন্য তিনি চিকিৎসা এবং আমলাতন্ত্রের অক্ষমতাকে দায়ী করেন। একই সাথে সংকট মোকাবিলায় চীনের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান কিম।

আরও পড়ুন