Ad
Advertisement
Doctor TV

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫


করোনায় উত্তর কোরিয়ায় প্রথম মৃত্যু

Main Image

আরও প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের মধ্যে জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে


প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির আরও প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের মধ্যে জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। খবর বিবিসি।

শুক্রবার (১৩ মে) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, জ্বরে ভুগে ছয়জন মারা গেছে। পরীক্ষায় তাদের একজনের ওমিক্রন পজিটিভ এসেছিল। জ্বরে আক্রান্ত ১ লাখ ৮৭ হাজার জনকে ‘আলাদা রেখে চিকিৎসা’ দেওয়া হচ্ছে।

বেশ কিছুদিন ধরেই দেশটিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে, বিশেষজ্ঞরা এমনটি ধারণা করে আসলেও উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (১২ মে) প্রথমবারের মতো এটি স্বীকার করে।

তারা জানায়, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রন ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় লকডাউন দেওয়া হয়েছে। তবে মোট কতজন আক্রান্ত হয়েছেন তার সুনির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করেনি।

তবে শুক্রবার হালনাগাদ তথ্যে কেসিএনএ জানায়, প্রাদুর্ভাব রাজধানীর বাইরেও ছড়িয়েছে। এপ্রিলের শেষ দিক থেকে কারণ নির্ণয় করা যায়নি এমন একটি জ্বর দেশজুড়ে দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় সাড়ে ৩ লাখ লোকের মধ্যে এই জ্বরের উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানালেও পরীক্ষায় তাদের কতজনের কভিড পজিটিভ এসেছে তা উল্লেখ করেনি।

বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমের দেওয়া এ হিসাব এবং কারণ নির্ণয় হয়নি এমনটি একটি জ্বর দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে এমন স্বীকারোক্তিতে এ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, দেশটি এমন একটি প্রাদুর্ভাবের মুখোমুখি হয়েছে, যা এ পর্যন্ত দেখেনি তারা।

করোনা শনাক্ত হওয়াকে ‘বৃহত্তম জরুরি ঘটনা’ বর্ণনা করে এতে দেশটির ‘কোয়ারেন্টাইন ফ্রন্ট’ লঙ্ঘিত হয়েছে বলা হয়। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন। তিনি ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় সভাপতিত্ব করেন। এরপরই করোনার বিস্তার ঠেকাতে শহর ও পৌর এলাকায় ‘কঠোর লকডাউন’ মেনে চলার নির্দেশনা দেন কিম।

২০২০ সালের শুরুতে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়া দেশটিতে কঠোর কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা চালু করে। সীমান্তও বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন