Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


জেনে নিন হাঁপানি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

Main Image

অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট এমন একটা রোগ যার নির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায়নি।


বায়ু দূষণে ঢাকার অবস্থান পৃথিবীতে শীর্ষে। ফলে প্রতিনিয়োতই বাড়ছে অ্যাজমাসহ নানা ধরণের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা। হাঁপানি বা অ্যাজমা শ্বাসনালীর দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহজনিত রোগ, যার কোনো স্থায়ী চিকিৎসা নেই। ঢাকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই বায়ু দূষণ বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে।

তাই জনসচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালিত হয় 'বিশ্ব অ্যাজমা দিবস'। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'অ্যাজমা সেবায় ব্যবধান কমান'। বিশ্বে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ হাঁপানিজনিত সমস্যায় ভূগছে। বাংলাদেশে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ । চিন্তার ভাঁজ আরো দীর্ঘ হয় কারণ শিশু রোগীর সংখ্যা ৪০ লাখ।

সাধারণত দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ এবং সংবেদনশীলতায় স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে না পাড়াকে বলা হয় হাঁপানি বা অ্যাজমা । অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট এমন একটা রোগ যার নির্দিষ্ট কোন কারণ জানা যায়নি।

লক্ষণ

৬৫ শতাংশ মানুষের আক্রান্ত হবার কারণ এলার্জি । কোনো সময় যদি এই লক্ষণগুলো দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সরণাপন্ন হোন।

- শ্বাসকষ্ট, সাথে শুকনো কাশি 

- শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাঁশির মতো সাঁ সাঁ শব্দ

- হঠাৎ দমবন্ধ ভাব অনুভব করা

- ধুলোবালি বিশেষভাবে ঘরের ধুলো, ঠাণ্ডা কিংবা গরমের কারণে শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট 

- ঋতু পরিবর্তনের সময় শ্বাসকষ্ট

- বিটাব্লকার বা অ্যাসরিন জাতীয় ওষুধ খেলে শ্বাসকষ্ট

প্রতিকার

যে কোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে এর থেকে প্রতিকার পাওয়াই উত্তম। আসুন জেনে নিই এই রোগের প্রতিকারসমূহঃ

১. এলার্জি কারক বস্তু এড়িয়ে চলুন । যেমনঃ ধুলো, বালি, ঘরের ঝুল, ধোঁয়া ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন ।

২. ঘর বাড়িকে ধুলো বালি থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা । এজন্য দৈনিক অন্তত একবার ঘরের মেঝে, আসবাপত্র, ভেজা কাপড় দিয়ে মুছতে হবে অথবা ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার করা ।

৩. ঘরে কার্পেট রাখবেন না ।

৪. বালিশ ও তোষক, ম্যাট্রেসে তুলা ব্যবহার না করে স্পঞ্জ ব্যবহার করুন ।

৫. শীতকালে যথা সম্ভব গরম পানিতে গোসল করুন।

৬. ধূমপান না করা।

৮. ঠাণ্ডা খাবার, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবেন না ।

৯. মানসিক চাপ, উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তাকে ইতিবাচক মনোভাবে মানিয়ে চলুন । কিংবা মানসিক চাপের কারণকে এড়িয়ে চলুন ।

১০. পেশাগত কারণে অ্যাজমা হলে চেষ্টা করতে হবে স্থান কিংবা পেশা পরিবর্তন ।

১১. পরিশ্রম কিংবা খেলাধুলার কারণে শ্বাসকষ্ট বাড়লে চেষ্টা করতে হবে পরিশ্রমের কাজ কম করতে ।

১২. সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করবেন । ইতিবাচক মন আপনাকে ভালো থাকতে সাহায্য করবে ।

১৩. রেণু পরিহারে সকাল কিংবা সন্ধ্যা বাগান এলাকায় কিংবা শস্য ক্ষেতের কাছে যাবেন না ।

১৪. রেণু এলাকা থেকে বাসায় ফিরে মাথার চুল ও কাপড় ধুয়ে ফেলুন ।

১৫. কুকুর বিড়াল বাগান থেকে রেণু বহন করতে পারে । এজন্য নিয়মিত পোষা কুকুর বিড়ালকে গোসল করানো প্রয়োজন ।

আরও পড়ুন