Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


টিকাগ্রহীতা ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা ২ লক্ষণে উত্তর

Main Image

কেউ ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা বোধ করলে পরীক্ষা জরুরি


করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া হলে গুরুতর কভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। তবে টিকা নিলেই কেউ করোনায় আক্রান্ত হবেন না এমন নয়।

টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়ার পরও অনেকে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে করোনার ওমিক্রন ধরনের সম্ভাব্য কয়েকটি লক্ষণ চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, ওমিক্রনের প্রাথমিক দুটি লক্ষণও চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানে।

সংক্রামক রোগ ও মহামারীবিষয়ক সাময়িকী ‘ইউরো সারভেইলেন্স’–এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, টিকাগ্রহীতা ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে ৮টি লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এসব লক্ষণ হলো কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, ক্লান্তি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, জ্বর ও হাঁচি। টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে কাশি, সর্দি ও ক্লান্তি—এ তিনটি উপসর্গ বেশি দেখা যায়। হাঁচি ও জ্বর উপসর্গ দুটি একদমই কম দেখা যায়।

এর আগে বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ওমিক্রন মৃদু কোনো ভাইরাস নয়। সম্ভবত মানুষ টিকা নেওয়ায় এবং পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করায় এর উপসর্গ মৃদু হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেউ যদি ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা বোধ করেন, তবে তার করোনা পরীক্ষা করানো উচিত। এ দুই লক্ষণ দেখা গেলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণ ক্লান্তি ও অবসাদ একপর্যায়ে শরীরব্যথা, পেশির ব্যথা ও দুর্বলতা, মাথাব্যথা এমনকি চোখে ঝাপসা দেখা ও ক্ষুধামান্দ্যে রূপ নিতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি জরিপ চালিয়েছে ওয়েব এমডি। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা কভিড আক্রান্ত অবস্থায় কতটা অবসাদে ভুগেছেন। এতে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ নারী বলেছেন, কভিডের কারণে অবসাদে ভুগেছেন তারা। তবে তুলনামূলকভাবে কমসংখ্যক পুরুষ অবসাদে ভুগেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী পুরুষদের এক-তৃতীয়াংশ এমন অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন