Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


ওমিক্রনে শ্বাসকষ্ট, কি বলছেন চিকিৎসকরা

Main Image

এখন আক্রান্তদের কাঁশি ও শরীর ব্যথার মতো মৃদু জ্বরের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে


করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আক্রান্তদের এখন পর্যন্ত অসুস্থতা কম গুরুতর। তবে তাদের কাঁশি ও মৃদু জ্বরের উপসর্গ পাওয়ার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, মহামারীর আগের ঢেউয়ে ডেল্টা ধরনে আক্রান্তদের তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্তদের মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা প্রথম করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্তের কথা জানান। এরপর এটি অন্তত ৬০টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। তবে এখনো ধরনটিতে সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটির চিকিৎসক আনবেন পিল্লে জানান, তিনি দৈনিক কয়েক ডজন করোনা রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে তাদের কাউকে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে পাঠাতে হয়নি।

নতুন ধরনটি আরও বেশি দ্রুত গতিতে ছড়ালেও বিশেষজ্ঞরা এ কারণেই ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রন আক্রান্তদের ‘মৃদু উপসর্গ’ দেখা দেয় বলে মনে করছেন।

রোগীদের বিষয়ে ডা. পিল্লে বলেন, ‘বয়স্ক ও গুরুতর অসুস্থ থেকে যারাই আক্রান্ত হচ্ছেন, তারা ঘরেই এ রোগ থেকে উপশমের ব্যবস্থা নিতে পারেন। বেশিরভাগই ১০ থেকে ১৪ দিনের আইসোলেশনের সময়েই সেরে উঠেন।’

তিনি বলেন, ‘আগে আক্রান্তদের শ্বাসকষ্ট ও অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার সমস্যা ছিল। অনেককেই কয়েক দিনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এখন আক্রান্তদের কাঁশি ও শরীর ব্যথার মতো মৃদু জ্বরের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।’

পুরো দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তত পাঁচ হাজার সাধারণ চিকিৎসকদের একটি অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক পিল্লে বলেন, ‘আমার সহকর্মীরাও ওমিক্রনের ক্ষেত্রে একই ধরনের পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছেন।’

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে ‘আফ্রিকা হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউট’— এর পরিচালক উইলেম হানেকম বলেন, ‘এই মুহূর্তে কার্যত সবকিছুই নির্দেশ করছে এর উপসর্গগুলো মৃদু। এখন তো শুরুর সময়, আমাদের চূড়ান্ত তথ্য পেতে হবে। বেশিরভাগ সময় হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঘটনা পরে ঘটে এবং আমরা মাত্র দুই সপ্তাহ ধরে এ ঢেউয়ের মধ্যে আছি।’

আরও পড়ুন