Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


দেশে করোনা চিকিৎসায় ৮০ ভাগ অ্যান্টিবায়োটিকেরই অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার

Main Image

মঙ্গলবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) আয়োজনে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই গবেষণা তথ্য প্রকাশ করা হয়।


দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় ৮০ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার হয়েছে বলে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

রাজধানীর মুগদা হাসপাতালে পরিচালিত এক গবেষণা এমন তথ্য উঠে আসে।

মঙ্গলবার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) আয়োজনে ‘অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই গবেষণা তথ্য প্রকাশ করা হয়।

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহার না কমলে করোনার মতো আরেকটি মহামারীর আশঙ্কা করছেন গবেষকরা।

গবেষণা প্রতিবেদন বলা হয়, করোনা চিকিৎসায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ওষুধের ৭০ শতাংশই ছিল অ্যান্টিবায়োটিক। আর আইসিইউতে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের হার ৮০ থেকে ১০০ শতাংশ।

অ্যাজিথ্রোমাইসিন ও সেফ্টরিয়াক্সন ব্যবহার হয়েছে ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। আর হাসপাতালে ভর্তির আগে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলো ব্যবহার করেছেন ৩৩ শতাংশ রোগী।

মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. রুবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘দেশে করোনা চিকিৎসায় ৮৭ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ এর ৮০ শতাংশই ব্যবহারের প্রয়োজন ছিল না।’

অ্যান্টিবায়োটিকের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারের কারণে ক্রমেই কমে আসছে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কমে এসেছে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতাও।

গবেষকরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে এটাও অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব। বেড়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিসও।

তারা জানান, সম্প্রতি অ্যান্টিবায়োটিকের অত্যধিক ব্যবহার ও অপব্যবহারের কারণে ব্যাকটেরিয়ার কিছু স্ট্রেইন তাদের ডিএনএতে সামান্য পরিবর্তন এনে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ‘সুপারবাগে’ রূপান্তরিত হয়েছে।

সেমিনারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘যে হারে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়েছে তা আগামী দিনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে।’

আরও পড়ুন