Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


অতিরিক্ত ওষুধে যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষাধিক প্রাণহানি

Main Image

অতিরিক্ত ওষুধে যুক্তরাষ্ট্রে লক্ষাধিক প্রাণহানি


প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওষুধ সেবনে যুক্তরাষ্ট্রে এক বছরে এক লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলের আগের ১২ মাসে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির।

এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর এই সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। এছাড়া কেবল মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণে দেশটিতে এতো বিপুল মানুষের মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম এবং মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বেশিরভাগই আফিম জাতীয় ওষুধ সেবন করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-র হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত গত ১২ মাসে প্রয়োজনের চেয়ে অধিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করে যুক্তরাষ্ট্রে মোট ১ লাখ ৩০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই কারণে আগের এক বছরে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৭৮ হাজার ৫৬ জন।

অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় গত এক বছরে প্রয়োজনের চেয়ে অধিক মাত্রায় ওষুধ সেবন করে দেশটিতে মৃত্যু বেড়েছে ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ।

সিডিসি বলছে, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রাণ হারানো এক লাখ ৩০৬ জনের মধ্যে আফিম জাতীয় ওষুধ সেবন করে মারা গেছেন ৭৫ হাজার ৬৭৩ জন। এর মধ্যে প্রধানভাবে দায়ী সিনথেটিক ও ফেনটানিল জাতীয় ওষুধ।

সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, করোনা মহামারীতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। যা প্রয়োজনের চেয়ে অধিক মাত্রায় ওষুধ সেবনের অন্যতম কারণ।

করোনার কারণে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেবা নিশ্চিত করা বা ব্যক্তি উদ্যোগে সেবা নেওয়াতেও অনীহার সৃষ্টি হয়। অবশ্য অনেকেই এটিকে করোনা রোধে অতিরিক্ত সাবধনতা বলে আখ্যায়িত করেছেন।

বিবিসি জানিয়েছে, অধিক মাত্রায় ওষুধ সেবনের কারণে হওয়া প্রাণহানি ১২ মাসের নির্দিষ্ট এই সময়সীমায় বন্দুক সহিংসতায় নিহত কিংবা সড়ক দুর্ঘটনা এমনকি বিভিন্ন সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

এএফপি বলছে, হৃদরোগে আক্রান্ত এবং এ সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। হৃদরোগ জটিলতায় সেই বছর দেশটিতে ৬ লাখ ৬০ হাজার প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছিল। ক্যন্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৬ লাখ এবং অনিচ্ছাকৃত আঘাতের কারণে প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন