Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


শাহজালালে করোনা ল্যাবে অনুমোদন আমিরাতের

Main Image

অনুমোদনের ফলে বাংলাদেশিদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহ শহরে যাওয়ার বাধা কাটল


হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত করোনা পরীক্ষার ছয়টি আরটি-পিসিআর ল্যাব অনুমোদন দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানকে দেয়া চিঠিতে এ অনুমোদনের কথা বলেছে ঢাকাস্থ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাস।

এ অনুমোদনের ফলে বাংলাদেশিদের সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহ শহরে যাওয়ায় ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকল না বলে জানিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান।

চিঠিতে বলা হয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সিভিল এভিয়েশন আপনাদের স্থাপিত ল্যাবগুলোকে অনুমোদন দিয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রুটগুলোতে নিয়মিত ফ্লাইটগুলো চালুর অনুমোদন দেয়া হলো। এ অনুমোদনের সিদ্ধান্ত বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে কার্যকর হবে।

শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, একজন যাত্রী তার যাত্রা শুরুর ৬ ঘণ্টা আগে এই ল্যাব থেকে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেগেটিভ সনদ নিয়ে আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

অনুমোদন পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলো— গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড, স্টেমজ হেলথকেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।

ল্যাবগুলোতে জনপ্রতি পরীক্ষা ফি ১ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারিগরি কমিটি।

গত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এই বুথগুলোতে পরীক্ষা করিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে পরীক্ষামূলকভাবে দুবাই যায় যাত্রীদের একটি দল। বর্তমানে করোনার কারণে ইউইএর সঙ্গে নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বেবিচকের অনুমতি সাপেক্ষে এমিরেটস এয়ারলাইনস স্বল্পসংখ্যক বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

তবে গত আগস্টে শর্ত দেয়া হয়, দেশটিতে যেতে হলে যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে লাগবে বিমানবন্দরে করোনার আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ। কিন্তু বাংলাদেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমন ব্যবস্থা না থাকায় কর্মস্থলে যেতে বিপাকে পড়েন প্রবাসীরা।

পরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ছয়টি ল্যাবে ১২টি মেশিন বসানো হয়। এ ল্যাবগুলোর মাধ্যমে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। এখানে দ্রুততম সময়ে পরীক্ষার জন্য র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব এবং সাধারণ পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব দুটিই কাজ করবে।

আরও পড়ুন