Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


বাধ্যতামূলক করোনার টিকা নিতে হবে অজিদের

Main Image

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন


অস্ট্রেলিয়ার আড়াই কোটি নাগরিকের জন্য করোনার টিকা বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। জনগণকে তিনি বিনা মূল্যে টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ বুধবার তাঁর এ মন্তব্যর পর নৈতিকতা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার পরীক্ষামূলক সম্ভাবনাময় টিকাটি তৈরির জন্য চুক্তি করেছে অস্ট্রেলিয়া। চুক্তির পর মরিসন বলেন, ‘টিকা ততটা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত, যতটা সম্ভব আপনি এটি তৈরি করতে পারবেন। চিকিৎসার ভিত্তিতে যেকোনো টিকার জন্য সর্বদা ছাড় রয়েছে, তবে এটাই একমাত্র ভিত্তি হওয়া উচিত।’


টিকাবিরোধী গ্রুপের কঠোর প্রতিবাদ ও কর্মসূচির প্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, রোগটি পরীক্ষা না করেই চলতে দেওয়ার পক্ষের লোকজন বেশি বাধা সৃষ্টি করেছে।


মরিসন আরও বলেন, ‘আমরা একটি মহামারি নিয়ে কথা বলছি, যা বৈশ্বিক অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে এবং বিশ্বের লাখো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।’

এএফপির খবরে জানানো হয়, অস্ট্রেলিয়ার সরকার ধারণা করছে, দেশ থেকে ভাইরাস নির্মূলে জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশকে প্রতিরোধী হতে হবে।

মরিসন বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে স্বাভাবিক করতে হলে আমাদের সর্বাধিক বিস্তৃত এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দরকার হবে। অস্ট্রেলিয়া নাগরিকদের বিনা মূল্যেই টিকা দেবে।’

অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে শিশুদের টিকা বাধ্যতামূলক করে। কিন্ডারগার্টেনে শিশুদের ভর্তি হতে হলে পোলিও ও ধনুষ্টঙ্কারের টিকা বাধ্যতামূলক।

করোনার টিকা নিয়ে অনলাইন ফোরামগুলোয় নানা ষড়যন্ত্রতত্ত্ব, ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়েছে। টিকাবিরোধী ব্যক্তিরা করোনার টিকা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি ব্যক্তিস্বাধীনতা লঙ্ঘন করবে বলে বিতর্ক করছেন।

করোনাভাইরাসে অস্ট্রেলিয়ায় ৪০০ জনের বেশি লোক মারা গেছেন। দেশটিতে করোনা নিয়ে ছড়ানো নানা গুঞ্জনের বিষয়টিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘ইনফোডেমিক’ বা ‘তথ্য মহামারি’।

এ পর্যন্ত বিশ্বে কোনো কার্যকর টিকা উন্মুক্ত করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেছেন, তিনি আশাবাদী আগামী বছরের শুরুতে একটি টিকা তৈরি হয়ে যাবে। এটি উৎপাদনে আর কয়েক মাস বেশি লাগতে পারে।

আরও পড়ুন