Copyright Doctor TV - All right reserved
তৃণমূল পর্যায়ের সকল স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এরফলে উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে “উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং করণীয়” শীর্ষক সাংবাদিক কর্মশালায় এসব মতামত তুলে ধরা হয়।
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশারকে নীরব ঘাতক বলা হয়। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন। শুধু বয়স্ক নন, যেকোনো বয়সের মানুষেরই হাই ব্লাড প্রেশার থাকতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, সঠিক খাদ্যাভাসের ঘাটতির কারণে যে কারোরই এটি হতে পারে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক ,স্ট্রোক, কিডনি রোগ, চোখের ক্ষতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কাও থাকে।
আজ ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এবছর বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সঠিকভাবে রক্তচাপ মাপুন, নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং দীর্ঘজীবী হোন’।
অবিলম্বে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করা দরকার। এতে দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজশাহী মহানগরের একটি হোটেলে ‘হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ: শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
খাওয়ার সময় লবন না নিলে অনেকে খাবার খেতে পারেন না। কেউ আবার মনে করেন লবন ছাড়া সবই মাটি তাই সামনে রাখেন লবন দানি। খাবার যা-ই নেন না কেন, পাতে ঝেড়ে নেন লবণ। অথচ কমবেশি সবাই জানে, এই লবণ ক্ষতি করে রক্তচাপের।
অনেকেই জানতে চেয়েছেন, ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ কতদিন খেতে হবে বা নিয়ন্ত্রণ হলে বন্ধ করা যাবে কি না? উচ্চ রক্তচাপের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে কোন কারণ জানা যায়না সেইজন্য এর কারণের চিকিৎসা করা সম্ভব হয়না।
অনেকে বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। কেউ ডায়াবেটিস রোগী, কেউবা হৃদ্রোগে ভুগছেন। আবার কারও উচ্চ রক্তচাপ আছে। কেউ কেউ ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বা কিডনি রোগে ভুগছেন। সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা
দেশের ৯৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, বাকি মাত্র ১ শতাংশের কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার অর্থায়নে পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
কোনো মানুষকে রক্তদান করে তাকে বাঁচিয়ে তোলার মতো মহৎ কাজ আর নেই। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে একজন মুমূর্ষু রোগীকে রক্তদান করাটা সৌভাগ্যের বিষয়। কিন্তু যে কেউ চাইলে রক্তদান করতে পারবেন না
আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লাখ উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগী শনাক্ত করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সর্বস্তরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা প্রোটোকলের ব্যবহার নিশ্চিত করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বিশ্বব্যাপী মানুষের সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে হৃদরোগে। বছরে এর সংখ্যা প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ। হৃদরোগের অন্যতম কারণ উচ্চ রক্তচাপ ও তামাকজাত পণ্য সেবন। ভবিষ্যতে হৃদরোগের সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। পরিমিত খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত ব্যায়াম একজন মানুষকে হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।
কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়বেটিসের ওষুধ। গত ১৪ মে কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্যবহৃত ওষুধের তালিকা হালনাগাদকরণ কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আধুনিক যান্ত্রিক জীবনের প্রভাবে আমাদের শারীরিক ও মানসিক চাপ, দীর্ঘমেয়াদি রোগ বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে ঘুমের সমস্যাও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলজি বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) র্যালি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
দীর্ঘমেয়াদী রোগ হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ। শনাক্তের পর আজীবন ওষুধ খেতে হয়। অন্যথায় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, হার্ট ফেইল, ব্রেইন স্ট্রোক এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এ কারণে দেশবাসীর সুস্থতায় দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে।