উপজেলা হাসপাতালেই মিলছে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ও সেবা
দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে
দীর্ঘমেয়াদী রোগ হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ। শনাক্তের পর আজীবন ওষুধ খেতে হয়। অন্যথায় নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়া, হার্ট ফেইল, ব্রেইন স্ট্রোক এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। এ কারণে দেশবাসীর সুস্থতায় দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডক্টর টিভি অনলাইনকে এসব তথ্য জানান বিশিষ্ট কার্ডিওলজিস্ট ও নওগাঁর সাহাপার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ হলে ঘাবড়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই। কারণ নিয়মিত ওষুধ সেবন, সুন্দর জীবনাযাপন ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করা সম্ভব।
তিনি জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত এনসিডি কর্ণার থেকে নিয়মিত চিকিৎসা পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা। প্রতিবার হাসপাতালে এসে ২০ থেকে ৩০ দিনের ওষুধ পেয়ে থাকেন রোগীরা।
এমনকি কমিউনিটি হাসপাতাল থেকেও হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ পেতে পারেন রোগীরা।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ অসংক্রামক রোগ উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন। বাংলাদেশ এনসিডি স্টেপস সার্ভে, ২০১৮ অনুযায়ী- ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে প্রতি ৭ জনে একজনেরও কম উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। গ্লোবাল বারডেন অফ ডিজিজ স্টাডি-২০১৯ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি উচ্চরক্তচাপ।