Copyright Doctor TV - All right reserved
ক্যাডাভেরিক অঙ্গদানের অঙ্গীকার করলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ৪ কর্মকর্তা। অপর ৩ জন হলেন, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান ও প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল।
‘ব্রেন ডেথ’ অবস্থায় কিডনি ও কর্নিয়া দান করে অনন্য নজির স্থাপন করায় সারাহ ইসলাম ঐশ্বর্যের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান ও কৃতজ্ঞতা জানানোর দাবি জানানো হয়েছে।
মৃত্যুর আগে কিডনি ও চোখ দান করেন সারাহ ইসলাম। তার চোখে এখন পৃথিবীর আলো দেখতে পাচ্ছেন মোহাম্মদ সুজন ও ফেরদৌস আখতার।
মৃত্যুর আগে নিজ দেহের সবকিছুই দান করে দিতে বলেছিলেন সারা ইসলাম। চিকিৎসকরা শুধু তার দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া কাজে লাগিয়েছেন। অতল শোকের মাঝেও মেয়ের দুটি কিডনি ও চোখের কর্নিয়া দান করার বিষয়ে সম্মতি দেন প্রয়াত সারার মা শবনম সুলতানা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ওই সম্মতিপত্রে সারার মা লিখেছেন, ‘আমি শবনম সুলতানা এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে; আমার মেয়ে সারা ইসলাম (২০), (multiple tubular Sclerosis) রোগের অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় ZCU, BSMMU ভর্তি করানো হয়। তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে, অত্র ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে ডাক্তারেরা তাকে (Brain stem Death) ঘোষণা করেন। এমতাবস্থায় আমি স্বেচ্ছায় প্রণোদিত হয়ে আমার মেয়ের দুটি কিডনি ও দুটি কর্নিয়া দান করতে সম্মতি দান করছি।