Ad
Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫


সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা টেস্ট সেবা চালুর দাবি এমটিএফের

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


 

দেশের সব সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেবা চালু রাখার দাবি জানিয়েছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরাম (এমটিএফ)। তাদের মতে, তিন শিফটে টেস্ট সুবিধা চালু হলে সরকারি সম্পদের সঠিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে এবং রোগ নির্ণয় ও সুচিকিৎসা আরও দ্রুত ও কার্যকর হবে।


শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে সরকারি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) মিলনায়তনে এমটিএফ আয়োজিত ‘জুলাই আকাঙ্ক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এমটিএফ কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সোহেল রানা। প্রধান অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম এবং প্রধান বক্তা ছিলেন ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. এসএম খালিদুজ্জামান।


এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সমাজকর্মী মিজানুর রহমান খান, জুলাই যোদ্ধা রেজাউল করিম শাকিল, ডা. শফিকুল ইসলাম জুয়েল, বৈষম্যবিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মিয়া মু. গোলাম মাওলা, এমটিএফ মহাসচিব রিপন সিকদার প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এমটিএফ দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মু. সোহেল হাওলাদার।


অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে নির্ভুল রোগ নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, প্যাথলজিস্ট ও টেকনিশিয়ানরা। সরকারিভাবে পদ সৃষ্টি করে নিয়মিত নিয়োগের ব্যবস্থা করা গেলে মেডিকেল টেকনোলজি বিষয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়বে। এজন্য অন্যান্য ডিপ্লোমাধারীদের মতো ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে দ্রুত উন্নীতকরণের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।


ডা. এসএম খালিদুজ্জামান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুসারে মেডিকেল জনবলের টিমওয়ার্ক নিশ্চিত করা গেলে সেবাগ্রহীতারা আরও সহজে ও দ্রুত সেবা পাবেন।
বক্তারা বলেন, সরকারি হাসপাতালে তিন শিফটে (মর্নিং, ইভিনিং ও নাইট) সেবা পরিচালিত হলেও বহির্বিভাগ কেবল এক শিফটে চালু থাকে। এতে সেবাগ্রহীতাদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, আর বাকি দুই শিফটে ভবন ও পরীক্ষাসামগ্রী অব্যবহৃত থাকে। এক শিফটে কম রোগী উপস্থিত থাকার কারণে অনেক রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। ইভিনিং ও নাইট শিফটে টেস্ট ব্যবস্থা না থাকায় অধিকাংশ রোগী বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হন।


তারা আরও বলেন, তিন শিফটে পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু হলে একই ভবন ও যন্ত্রপাতির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হবে। রোগীরা নিজের সুবিধামতো সময়ে সেবা নিতে পারবেন, প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় সম্ভব হওয়ায় চিকিৎসা ব্যয় ও ঝুঁকি উভয়ই কমবে। এতে দক্ষ জনবল তৈরি হবে, বেসরকারি সেবার ওপর নির্ভরতা হ্রাস পাবে, সরকারি সেবাগ্রহীতা ও রাজস্ব আয় বাড়বে, আর ভর্তুকি কমবে।


বক্তারা আরও বলেন, সঠিক রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করতে প্যাথলজিস্ট, ডিপ্লোমা ও বিএসসি মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ চিকিৎসা সহায়ক জনবলের পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ এখন জরুরি। একই সঙ্গে মেডিকেল টেকনোলজি কাউন্সিল গঠন করে জব রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা এবং পরিদপ্তর স্থাপনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
 

আরও পড়ুন