Ad
Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫


বিএমইউতে আন্তর্জাতিক প্যালিয়েটিভ কেয়ার সেমিনার: সেবা সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিকসেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএমইউ-এর সুপার স্পেশালাইজডহাসপাতালের লেকচার হলে আয়োজিত “প্যালিয়েটিভকেয়ার রোগীদের যত্ন নেওয়ার একটিঅবিচ্ছেদ্য অংশ: সহানুভূতি, যত্ন এবং নিরাময় )” শীর্ষকএই সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপকডা. মোঃ শাহিনুল আলম।মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর তাঁরবক্তব্যে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী উন্নত প্যালিয়েটিভ কেয়ার নিশ্চিত করা এবং প্যালিয়েটিভসেবার সম্প্রসারণ ও গবেষণার ওপরগুরুত্বারোপ করেন।
 

রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিতসেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মেডিসিন অনুষদেরসম্মানিত ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ শামীম আহমেদ। দেশি-বিদেশী বিশেষজ্ঞদেরঅংশগ্রহণে আয়োজিত এই সেমিনারে বিশেষঅতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোঃআকরাম হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম. মতিউর রহমানভূঁইয়া। প্যানেল এক্সপার্ট হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ক্লিনিক্যাল অনকোলজিবিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ সারোয়ারআলম। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞহেমাটোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আমিন ইসলাম।

সেমিনারেজানানো হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার তথ্য অনুযায়ী প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫৬.৮ মিলিয়নমানুষের প্যালিয়েটিভ সেবার প্রয়োজন হয়, যার মধ্যেমাত্র ১৪ শতাংশই এইসেবা পায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর কমপক্ষে ৬ লাখ মানুষউপশমকারী যত্ন বা প্যালিয়েটিভসেবার প্রয়োজন রয়েছে, তবে মাত্র ০.৫ শতাংশ মানুষএই সেবা গ্রহণ করতেপারে। তাই প্যালিয়েটিভ সেবারব্যাপ্তি বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
 

সেমিনারে আরও জানানো হয়, মৃত্যুপথযাত্রী মারাত্মক অসুস্থ রোগী, দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতায় ভোগা শয্যাশায়ী রোগী, বয়সজনিত দুর্বলতা এবং একাধিক রোগেভোগা শয্যাশায়ী বয়স্ক রোগী, জীবন সীমিতকারী শিশুরোগী, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্তরোগী যাদের রোগ নিরাময় অনেকটাবা সম্পূর্ণরূপে অনিরাময়যোগ্য তাদের প্যালিয়েটিভ সেবা প্রদান প্রয়োজন।এর মূল উদ্দেশ্য হলোমৃত্যুর আগে রোগীকে সেবাও যত্নের মাধ্যমে যন্ত্রণামুক্ত ও বেদনাহীন সময়উপহার দেওয়া।

আরও পড়ুন