Ad
Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫


চিকিৎসকদের চাকরিতে বয়সসীমা বেড়ে হচ্ছে ৩৪ বছর

Main Image

ছবিঃ প্রতীকী


নতুন খসড়া অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চিকিৎসক এবং প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ৩৪ বছর পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। এছাড়া পঞ্চম ও ষষ্ঠ গ্রেডের কিছু বিশেষ পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত নির্ধারণ করা যেতে পারে। পিএসসির প্রস্তাবে ইতোমধ্যেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একমত প্রকাশ করেছে। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের ওপর ছেড়ে দিতে চায়।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বয়স নিয়ে নানা জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় মন্ত্রণালয়ের অবস্থান এ ধরনের। তাই সংশোধিত অধ্যাদেশের খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে।

 

সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা। এ সংক্রান্ত বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করেছিল। সরকার যদি বয়সসীমা ৩২ বছর করে দেয়, তবে পূর্বে কিছু ক্ষেত্রে প্রার্থীদের যে বিশেষ সুবিধা ছিল, তা বাতিল হয়ে যেতে পারে। এতে বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ পরিস্থিতি সমাধানে ফের অধ্যাদেশ সংশোধন করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

 

গত বছরের ১৮ নভেম্বর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সব স্তরে ৩২ বছর করার জন্য অধ্যাদেশ ২০২৪ জারি করা হয়। এর আগে সাধারণ প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়স ছিল ৩০ বছর, আর মুক্তিযোদ্ধা কোটা, চিকিৎসক ও প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এটি ৩২ বছর। পঞ্চম ও ষষ্ঠ গ্রেডের কিছু পদে (বিশেষ করে কম্পিউটার-সংক্রান্ত) সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৪০ বছর নির্ধারিত থাকলেও নতুন অধ্যাদেশ জারির পর সেই সুবিধা সাধারণ প্রার্থীদের মতোই ৩২ বছরে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।

 

চিকিৎসকরা জানান, ইন্টার্নশিপ করার পর চাকরিতে প্রবেশ করতে হয়, তাই তাদের বয়সসীমা সাধারণ প্রার্থীদের চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এ বিষয়টি নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় এবং মন্ত্রণালয়ও একমত প্রকাশ করেছে। 

আরও পড়ুন