ছবিঃ সংগৃহীত
বাংলাদেশে এখনও বহু ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয়ভাবে সিজারিয়ান সেকশন (সিজার) করা হয়, যা মা ও নবজাতকের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তবে কৃত্রিমভাবে প্রসব বেদনা জাগিয়ে (ইনডাকশন পদ্ধতি) স্বাভাবিক প্রসবের হার বাড়ানো সম্ভব বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরে অবসটেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) আয়োজিত এক পরিচিতি সভায় এই তথ্য তুলে ধরেন তারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসী বেগম ফ্লোরা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ডা. মুনিরা ফেরদৌসী।
প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে এখনো প্রায় ৪৫-৫৪ শতাংশ শিশু সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নেয়, অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে এটি ১০-১৫ শতাংশের মধ্যে হওয়া উচিত। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইনডাকশন পদ্ধতি ব্যবহারে ৬৫ শতাংশ নারী স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম দিয়েছেন, এবং গড় প্রসব সময় কমেছে প্রায় ৩.২ ঘণ্টা—যেখানে কোনো বড় ধরনের জটিলতাও দেখা যায়নি।
অধ্যাপক মুনিরা ফেরদৌসী বলেন, ইনডাকশন পদ্ধতির সফল প্রয়োগে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ, হাসপাতালের অবকাঠামো উন্নয়ন ও জাতীয় গাইডলাইন তৈরি করা জরুরি।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওজিএসবির সাবেক সভাপতি ডা. রওশন আরা বেগম ও ডা. আঞ্জুমান আরা রীতা।
ডা. রীতা জানান, আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে ইনডাকশন পদ্ধতির মাধ্যমে সিজার হার ৭৩ শতাংশ থেকে ৪৩ শতাংশে নেমে এসেছে। আরও ভালো ফলের জন্য চিকিৎসকদের উৎসাহ ও প্রশিক্ষণ টিম গঠনের ওপর জোর দেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফ্লোরা বলেন, “বিশ্বব্যাপী বহুদিন ধরে ইনডাকশন পদ্ধতি ব্যবহার করে স্বাভাবিক প্রসবের হার বাড়ানো হচ্ছে। আমাদের দেশেও এটি সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব।”
আরও পড়ুন