ছবিঃ সংগৃহীত
স্বতন্ত্র ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক কাউন্সিল গঠনসহ কয়েকটি দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের বৈঠক সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে শুরু হয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৈঠক চলমান রয়েছে।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করলে তাদের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে রয়েছেন আহসান হাবীব (৩০তম ব্যাচ, বিএএমএস), নাইমুর রহমান (৩১তম ব্যাচ, বিইউএমএস), জুবায়ের হোসেন মিশন (৩১তম ব্যাচ, বিইউএমএস), আপন আহম্মেদ (৩২তম ব্যাচ, বিএএমএস) এবং আনিকা তাবাসসুম (৩১তম ব্যাচ, বিইউএমএস)।
অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, আলোচনা চলাকালীন সময় তারা কর্মসূচি স্থগিত রেখেছেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাজিদ বলেন, “আলোচনার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। দাবি না মানলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবো এবং তা ধাপে ধাপে আরও কঠোরতর হবে।”
আন্দোলনকারীরা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা তিনটি প্রধান দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। দাবিগুলো হলো স্বতন্ত্র ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক কাউন্সিল গঠন, বিতর্কিত সরকারি চিঠি প্রত্যাহার, এবং পেশাগত মর্যাদার আইনি স্বীকৃতি।
এর আগে আন্দোলনকারীদের একজন, ইউনানী চিকিৎসক জুবায়ের আহসান অভিযোগ করেন, সরকারের একটি চিঠির মাধ্যমে চিকিৎসা শিক্ষায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যার সুযোগ নিয়ে একটি অসাধু গোষ্ঠী নীতিবহির্ভূতভাবে ডিগ্রি ও স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে।
এ প্রতিবেদন প্রস্তুত হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, আলোচনা ব্যর্থ হলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন