ঠান্ডা পানি পান করা নিয়ে নানা মতবিরোধ রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, এটি পাকস্থলীতে সংকোচন সৃষ্টি করে হজমে সমস্যা করে। তবে এই ধারণার পক্ষে নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ খুব বেশি নেই। বাস্তবে, ঠান্ডা ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দু’টিই শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সমান কার্যকর। বিশেষ করে ব্যায়ামের পর ঠান্ডা পানি অনেক বেশি প্রশান্তিদায়ক হতে পারে, শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে এবং অল্প পরিমাণে বিপাকক্রিয়াও বাড়াতে পারে।
যাঁদের দাঁত বা হজমে সংবেদনশীলতা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। তবে অধিকাংশ মানুষের জন্য এটি কোনো সমস্যা নয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে। আসল ব্যাপার হলো—আপনি কীভাবে হাইড্রেট থাকছেন। কারণ, শরীর ও মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য যেকোনো তাপমাত্রার পানি অপরিহার্য।
ঠান্ডা পানির সম্ভাব্য ঝুঁকি
ঠান্ডা পানি শরীরের উপর কিছু অপ্রত্যাশিত প্রভাব ফেলতে পারে। হেলথলাইন-এর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৮ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে—ঠান্ডা পানি নাকের মিউকাসকে ঘন করে তোলে, ফলে শ্বাসনালীর মাধ্যমে তা সহজে চলাচল করতে পারে না। বিপরীতে, গরম পানি বা চিকেন স্যুপ শ্বাস নেওয়া সহজ করে তোলে।
নির্দিষ্ট কিছু শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি উপসর্গ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। যেমন—২০০১ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঠান্ডা পানি মাইগ্রেনে ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে মাথাব্যথা ট্রিগার করতে পারে। আবার, ২০১২ সালের একটি গবেষণা অনুযায়ী, যাঁরা অ্যাকালেশিয়া নামক রোগে ভুগছেন—যা খাদ্যনালীতে খাবার চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করে—তাঁদের উপসর্গ ঠান্ডা পানির কারণে বেড়ে যেতে পারে।
চীনা ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী, গরম খাবারের সাথে ঠান্ডা পানি খাওয়া শরীরে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে। তাই সেখানে খাবারের সাথে উষ্ণ পানি বা চা পরিবেশন করা হয়। অনুরূপ বিশ্বাস অন্যান্য সংস্কৃতিতেও রয়েছে—যেমন গরম দিনে ঠান্ডা পানি আসলে শরীর ঠান্ডা করে না। যদিও এসব ধারণার পেছনে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ এখনো অপর্যাপ্ত এবং আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।
ঠান্ডা পানির উপকারিতা
বিশেষ করে যাঁরা নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের জন্য ঠান্ডা পানির রয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা। যেমন—
ঠান্ডা পানি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?
১। ঠান্ডা পানি ওজন কমাতে সামান্য সাহায্য করতে পারে। এর সম্ভাব্য উপকারিতাগুলো হলো:
আরও পড়ুন