বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান
সাম্প্রতিক মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত “বিশেষ প্রতিবেদন” সম্পর্কে প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আমি চরম ক্ষোভ ও বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, নাজমুস সাকিব নামের এক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও পেজ থেকে আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মনগড়া, বিভ্রান্তিকর এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
যেখানে কল্পনাভিত্তিক দাবি করা হচ্ছে যে, আমি নাকি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের অনুমতির জন্য রাষ্ট্রের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে “ধরনা দিয়েছি” এবং একটি “সেফ এক্সিট প্ল্যানের” মূল পরিকল্পনাকারী!
আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমার জীবনে কখনও আমি ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিনি বা তার সাথে কোনদিন কথাও হয়নি। তারসঙ্গে আমার কোনো পরিচয় বা কোন যোগাযোগ নেই।
আমি কারো বিদেশ গমনের সুপারিশ করিনি, করতেও পারি না। আমি রাষ্ট্রের কোনো দায়িত্বে নেই, প্রশাসনের সঙ্গেও জড়িত নই। আমার পেশা চিকিৎসা, আর পরিচয় একজন সাধারণ নাগরিক। ইমিগ্রেশন পুলিশের কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে আমার কোনো প্রকার যোগাযোগ নেই এবং তার কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গেও আমি যুক্ত নই।
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ আমার ভগ্নিপতি হওয়া স্বত্বেও আমি রাষ্ট্রের কোন সুযোগ সুবিধা নেইনি, বরং আমি ব্রিগেডিয়ার র্যাংক না নিয়ে স্বেচ্ছায় সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহন করি। বছর দুইয়েক আগে আমার পেশাগত দক্ষতায় হিংসা পরায়ণ হয়ে সম্ভবত স্বাচিপের একজন ডক্টর আমার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি উড়ো চিঠি লিখেন। এই চিঠির ভিত্তিতেই আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হয় এবং আমাকে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হয়।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণবিপ্লবে আমি ছাত্রদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছি এবং আহতদের চিকিৎসা দিয়ে পাশে থেকেছি।
আমি ছাত্র জীবন থেকে আমি কোরআনের রাজনীতিকে ধারণ করি, এ রাজনীতির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সমাজ থেকে অন্যায় অবিচার দূর করে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যা সব নবী-রাসূলরাই (সা.) চেষ্টা করে গেছেন। এ ব্যাপারে মোহাম্মদ (সা.) সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করেছেন। এই রাজনীতিতে দুনিয়ায় চাওয়ার কিছু নেই, পরকালের সফলতাই হচ্ছে মূখ্য। কুরআনের ভাষায়: "আমরা তোমাদের কাছ থেকে কোনো প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা চাই না" (সূরা আল-ইনসান ৭৬:৯)। এছাড়াও পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, "বলুন, নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু—সবই আল্লাহর জন্য, যিনি সমস্ত বিশ্বের প্রতিপালক" (সূরা আল-আনআম ৬:১৬২)। কাজেই যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত থাকে, তাদের কাছে সমালোচনা বা মিথ্যা অপবাদে কী আসে যায়।
উল্লেখ্য, প্রফেসর ডা. কর্নেল (অব.) জেহাদ খান বর্তমানে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত। এছাড়াও তিনি কিশোরগঞ্জ-৩ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী।
আরও পড়ুন