Advertisement
Doctor TV

শনিবার, ৩ মে, ২০২৫


৬ বছরেও শেষ হয়নি খানপুর হাসপাতাল ৫শ' শয্যায় উন্নীতকরণ প্রকল্প

Main Image


নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর সরকারি হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করতে দুই বছরের প্রকল্পটি ছয় বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে প্রত্যাশিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শহরের লাখ লাখ মানুষ। 

 

সংশ্লিষ্টরা জানান ২০১৭ সালের ২১ মার্চ একনেকের বৈঠকে এ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২০১৮ সালের জুন মাসে হাসপাতালটি ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণের লক্ষ্যে নতুন ১৫ তলা ভবনের প্রথম ধাপে সাততলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পুরো প্রকল্পের জন্য মোট ১৩০ কোটি টাকার বরাদ্দের অনুমোদন দেয় সরকার। যেখানে সাততলা ভবন নির্মাণে অনুমোদিত প্রকল্প মূল্য ৭০ কোটি টাকা।

 

শুরুতেই প্রকল্পটির দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে জিকে বিল্ডার্সকে ঠিকাদারি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ কাজ শুরু করে। প্রকল্পের ২৪ মাসের মধ্যে শেষ করতে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্মাণ শুরুর ১৯ মাসে প্রকল্পটির মাত্র ২০ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়। পরবর্তী এক বছরে মাত্র ৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়ে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বরাদ্দকৃত ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের মোট ২৫ শতাংশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এরমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের মালিক জিকে শামীম ২০২০ সালে গ্রেফতার হলে প্রকল্প থেকে তার কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ঢালি কন্সট্রাকশনের আওতায় প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়।


গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, দুবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলেও মহামারি করোনা এবং বরাদ্দ সংকটের কারণে নির্দিষ্ট সময় ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি।

ফলে সবশেষ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। এ সময়ের মধ্যেও ভবনটি পুরোপুরি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে আরেক দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

 

এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল মোতালেব বলেন, আমাদের ভবন নির্মাণের কাজ শেষ। ভেতরে ফিটিংসের কাজও সম্পন্ন হয়েছে। রোজার ঈদের আগে আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একটি ভিজিট দিয়েছি। সে সময় কিছু বিষয়ে সমস্যা তুলে ধরলে সেগুলো সংশোধন করে দেওয়া হয়। ঈদের আগেই এটি বুঝে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের জনবল সংকটের কারণে তখন বুঝে নেয়নি। তারা বলেছে, ঈদের পর হস্তান্তর বুঝে নেবে। আশা করছি সপ্তাহখানেকের মধ্যে তারা আমাদের থেকে নতুন ভবনটি বুঝে নেবেন।

 

এ প্রসঙ্গে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাশার বলেন, ভবনটি আপাতত আমাদের চারতলা পর্যন্ত বুঝিয়ে দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত ইলেকট্রিকের কাজ হয়নি। বাকি কাজ সম্পন্ন করে বুঝিয়ে দেয়ার কথা রয়েছে। গত সরকারের সময় বাজেটের টানাপোড়নের কারণেই মূলত কাজের ধীরগতি হয়েছে বলে জানান তিনি। 

আরও পড়ুন