চিকিৎসকদের ওপর হামলা, মারধর , হুমকি ধামকির প্রতিবাদসহ ৬ দফা দাবী জানিয়েছেন ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব দাবি জানিয়েছেন তারা।
তাদের দাবিগুলো হলো-
১. ডা. নাইমুল হাসনাতকে ভুল চিকিৎসার অজুহাতে নির্যাতনকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে,
২. ডিউটিরত চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে,
৩. সরাসরি ও সোস্যাল মিডিয়ায় যারা চিকিৎসকদের নির্যাতনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে,
৪. পর্যাপ্ত চিকিৎসক পদায়ন দিয়ে চলমান চিকিৎসক সংকট সমাধান করতে হবে,
৫. হাসপাতাল চত্ত্বরে জরুরি ভিত্তিতে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে ও
৬. দালাল মুক্ত কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, গত শুক্রবার ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নোমো. মাকসুদুর রহমান (৪২) নামে এক রোগীর বুকে ব্যাথা নিয়ে স্বজনরা জুম্মার নামাজের সময় সোয়া একটার দিকে ভোলার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু এখানকার ডাক্তার কাগজে লিখে রোগী হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন। তবে চিকিৎসকের দেরিতে আসা ও অবহেলার কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে চিকিৎসক নাঈমুল হাসনাতকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনার রেশ না কাটতেই পর দিন শনিবার (১২ এপ্রিল ) রাত ৮ টায় ভোলার সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের মুজিবুল হকের স্ত্রী আলেফা খাতুন (৮৫) বার্ধক্যজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯টায় রোগী মারা গেলে রোগীর আত্মীয়-স্বজন উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসককে মারতে যায়। হাসপাতালের কর্মচারীরা বিপদের আশঙ্কা দেখে চিকিৎককে পেছন দরজা দিয়ে সরিয়ে দেন। পরে রোগীর
স্বজনদের বুঝিয়ে-সুজিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করালেও তাঁরা চিকিৎসকদের প্রাণনাশের হুমকী দেয়।
শনিবার রাতে রোগীর স্বজনরা চলে গেলেও রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালেও আবারও ওই রোগীর স্বজনরা চিকিৎসককে খুঁজতে আসে। এরপরেই চিকিৎসক ও হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীরা ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও নিরাপত্তাসহ ৬ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ডাকে। একই সাথে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে তার রুমে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এসময় আন্দোলনকারীরা ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন।
এসব ঘটনার জেরে রোববার রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে অফিস রুমে অবরুদ্ধ করে কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য স্টাফরা। চিকিৎসকদের ওপর হামলা, মারধর , হুমকি ধামকির প্রতিবাদে ও ৬ দফা দাবীতে এদিন ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা প্রায় ঘণ্টা ব্যাপী কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
আরও পড়ুন