মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির (বিএমইউ) ই-ব্লকের কনফারেন্স হলে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শিশুদের ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠান
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিশুদের ঈদ উপহার প্রদানের পাশাপাশি সার্বিক চিকিৎসা সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছেন বিপিএর চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির (বিএমইউ) ই-ব্লকের কনফারেন্স হলে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত শিশুদের ঈদ উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তারা এ আশ্বাস দেন। এর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করলো অধ্যাপক ডা. মো: সেলিমুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের (বিপিএ) নব-গঠিত কমিটি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মেসবাহ উদ্দিন। সভাপতিত্ব করে বিপিএর সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো: সেলিমুজ্জামান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপিএর নব নির্বাচিত সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান ও কোষাধ্যক্ষ ডা. মো: আতিয়ার রহমান। এছাড়াও অন্যান্য শিশু বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের পাশাপাশি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা আহত শিশুরাও উপস্থিত ছিল। উক্ত অনুষ্ঠানে আহত শিশুরা তাদের আহত হওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন।
বিপিএর নব নির্বাচিত সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত এই বাচ্চাগুলোর অপরাধ কি? আজ কেনো তারা আহত হলো এই প্রশ্নটার উত্তর টা কি?
বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে এই প্রশ্নটার উত্তর খুঁজে বের করতে হবে। যদি এই প্রশ্নের উত্তর আমরা খুঁজে বের করতে না পারি, তাহলে আমরা যে আশা আকাঙ্খা নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলাম, সে জায়গা থেকে আমরা বিচ্যুত হয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন আমি তাদের অনেককেই চিকিৎসা করিয়েছি। যখন জুলাই আন্দোলনের উত্তাল তরঙ্গ চলছিল, তখন আমি চিকিৎসা কাজ নিয়োজিত ছিলাম।বিশেষ করে দুই থেকে তিনশো ডাক্তারকে নিয়ে বিকল্প মেডিকেল সার্ভিস শুরু করেছিলাম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ তখন হিমশিম খাচ্ছিল। তখন আমরা ৯টি অ্যাম্বুলেন্সকে নিয়ে, বিভিন্ন জায়গায় শিফ্ট করে দিয়েছিলাম। যেসব আহতদের ঢাকা মেডিকেল নিতে চায়নি, তখন তাদেরকে ওই অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে করে প্রাইভেট কিছু হসপিটালে নিয়েছি। এর মধ্যে অরোরা নামে একটা প্রাইভেট হসপিটাল ছিল, তাদের ওখানে অপারেশনগুলো করেছে এবং সেখানে প্রায় ১ কোটি টাকা আমাদের বিল হয়। আমরা তখন সেই বিলগুলো দিতে পারিনি, তারা মাফ করে দিয়েছে।
কোষাধ্যক্ষ ডা. মো: আতিয়ার রহমান বলেন, আমদের ঔষধ কেনার টাকাও সেসময় ছিল না। কেউ টাকাও দিচ্ছিলো না। তখন বিকল্প হিসেবে আমরা সোল্ট ফার্মার কাছ থেকে বাকিতে ১৫ লক্ষ টাকার ঔষধ নিই। সাড়ে ৭ লাখ একবারে দেই। বাকি সাড়ে ৭ লাখ টাকা পরে কালেকশন করে পরিশোধ করি।
আরও পড়ুন