Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫


৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিপিএ'র পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার প্রতিশ্রুতি

Main Image

রোববার (২৩ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ই-ব্লকের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক্স এসোসিয়েশনের (বিপিএ) আয়োজিত জরুরি সাধারণ সভা


আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক্স এসোসিয়েশনের (বিপিএ) পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংগঠনের নবগঠিত কমিটির সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক ডা. মো. সেলিমুজ্জামান। রোববার (২৩ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) ই-ব্লকের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত জরুরি সাধারণ সভায় এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। 

 

অধ্যাপক ডা. সেলিমুজ্জামান বলেন, বিপিএ’র যে কমিটি করা হয়েছে, সেখানে শিশু হাসপাতাল থেকে আমি সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বিএমইউর অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান ও ডা. আতিয়ার রহমান কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটা প্রকাশিত হবে। আর আগামী দুই দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।

 

বিপিএ সভাপতি বলেন, অধ্যাপক ডা. মিসবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। তিনি ছিলেন আহ্বায়ক। পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে সেই কমিটির একটি কমিটি করার কথা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে এটা সম্ভব হয়নি। তার পরের এক মাস শুধু আহ্বায়ক ছিলেন অধ্যাপক ডা. মিসবাহ উদ্দিন। এই পরিস্থিতিতে ওই মাসের শেষ দিন আমাদের তিনজনকে দায়িত্ব দেন তিনি। বিপিএর নিয়ম অনুযায়ী, এই কমিটিকে এজিএমের মাধ্যমে পাস করাতে হবে।’

 

তিনি আরও বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর আমরা অ্যাসোসিয়েশনের কাজ এগিয়ে নিতে উপদেষ্টাসহ স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি, কথা বলি। চিকিৎসকদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মিটিং করি।’

 

এ সময় অ্যাসোসিয়েশনে বিভক্তি দূর করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন বিপিএ সভাপতি। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, কে সরকারি, কে পিজি, কে শিশু, কে লাল, কে নীল—আমরা এটা দেখবো না। দেখা উচিতও না। আমরা সবাই পেডিয়াট্রিক মেডিসিনের, যেটি একটি পেশাগত সাংগঠন। এখানে জ্যেষ্ঠদের সম্মান করা উচিত, অনুজদের স্নেহ করা উচিত। আমরা যদি অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপকদের সম্মান না করি, এখানে যদি রাজনীতির ঝনঝনানি বেশি হয়, তাহলে মুশকিল হবে।

 

নেতৃত্বের জন্য দীর্ঘ দিনের সাংগঠনিক তৎপরতা জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, হঠাৎ করে এসে কেউ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সেক্রেটারি হতে পারে না। একজন চিকিৎসককে প্রথমে জুনিয়র কনসালটেন্ট হতে হয়, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, তার পর অধ্যাপক হন। এমডি-এমএস, এফসিপিএস করার পরই দিনই কিন্তু অধ্যাপক হওয়া যায় না। তেমনিভাবে বিপিএতে প্রথমে সদস্য নির্বাচিত হতে হয়। যারা কখনো কোন দায়িত্ব নেননি, নির্বাচন করেননি, সদস্যদের সমর্থন পাননি, তারা যদি হঠাৎ পড় পদ চান, তাহলে হলো না। তিনি আসতেই পারেন, তার যোগত্যা আছে, তবে তাঁকে একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে আসতে হবে।

 

 

অধ্যাপক ডা. সেলিমুজ্জামান বলেন,  সংগঠনের সভাপতি-সেক্রেটারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। বিপিএর সংবিধান অনুযায়ী, সভাপতি, সেক্রেটারি ও কোষাধ্যক্ষকে ঢাকার হতে হয়। সুতরাং যারা বদলিযোগ্য চাকরি করেন, তাদের এই পদে না আসাই ভালো।

 

শিশু বিশেষজ্ঞদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক ডা. মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, শিশু বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। যারা গ্রামে আছেন, তাদের পিজি হাসপাতাল, শিশু হাসপাতালে প্রশিক্ষণে আসা উচিত। পিজি কিংবা শিশু হাসপাতালে যারা আছেন, তাদেরও বাইরে যাওয়া উচিত। আমরা দেখেছি, বিভিন্ন সময় চিকিৎসকরা প্রশিক্ষণ নিতে বাইরে যান। কিন্তু যারা যান, কীভাবে যান—জানি না। এখানে সাম্য থাকা উচিত।’

 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য, সবাইকে নিয়েই কমিটি করবো। আজকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ—এই তিনটি পদে নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। আমাদের সর্বমোট ৩৭ পদ আছে। সেখানে অন্যদের জন্য সুযোগ রাখা হয়েছে। এখানে সবাইকে যুক্ত করা হবে। হয় তো এমন হতে পারে যে, সব মানুষ চাইলেই হয় তো একটি পদ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে দেওয়ার চেষ্টা করবো। এখনো ৩৪ পদ শূন্য আছে। সেসব পদে তাদেরকে নিয়ে আমরা সম্মিলিতভাবে একটি কমিটি করবো ইনশাল্লাহ। কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতেই আমরা ৪৮ ঘণ্টা সময় রেখেছি আমরা।’

 

 বিপিএর সঙ্গে বহু আগে থেকে নিজের সম্পৃক্ততার কথা জানান নবগঠিত কমিটির কোষাধ্যক্ষ ডা. আতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, যখন আমি পেডিয়াট্রিশিয়ান হই, ১৯৯৯ সালের পর বিপিএর সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হই। এর পর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি নির্বাচন করি।

আরও পড়ুন