পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতীকী সনদ পোড়ানো কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পেশাজীবীদের ১৭ টি সংগঠন
পাঁচ দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতীকী সনদ পোড়ানো কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থী, ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং চিকিৎসক পেশাজীবীদের ১৭ টি সংগঠন। এর আগে কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ১০টা থেকে বিএসএমএমইউর বটতলায় সমবেত হন তারা। গণস্বাক্ষর শুরু করেন তারা। এরপর বেলা ১২টার দিকে সনদ পোড়ানো হয়।
চিকিৎসকদের ভাষ্য, “ম্যাটসের সার্টিফিকেট দিয়েই যদি চিকিৎসা দেওয়া যায়, তাহলে এমবিবিএস/বিডিএস পড়ার দরকার নাই। এমবিবিএস এবং বিডিএস না পড়ে কোর্টে রিট করার মাধ্যমেই ডাক্তার হওয়া যায়, সেই দেশে এমবিবিএস ও বিডিএস সার্টিফিকেটের কোনো প্রয়োজন নাই। এজন্য আমাদের এই কর্মসূচি।”
চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-
১. এমবিবিএস/বিডিএস ডিগ্রিধারী ছাড়া অন্য কেউ নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না। আদালতে চলমান এ সংক্রান্ত আইন ও জনস্বাস্থ্য বিরোধী সব রিট মামলা আগামী ১২ই মার্চের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে এবং বাংলাদেশে ‘ডিপ্লোমা চিকিৎসক’ নামে বিভ্রান্তিকর কোনো পদবি প্রচলন করা যাবে না, যার অস্তিত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা বিশ্বের কোথাও নেই।
২. রেজিস্টার্ড চিকিৎসক (এমবিবিএস /বিডিএস) ছাড়া অন্য কেউ স্বাধীনভাবে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবে না- এ অবস্থান জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
৩. আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট কোর্স কারিকুলাম সংস্কার কমিটি গঠন করে তাদের কোর্স কারিকুলাম পুনর্নির্ধারণ এবং মানহীন সকল ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল) বন্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
৪. জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের জন্য শূন্যপদে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নিয়োগ এবং চিকিৎসকদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছরে উন্নীত করতে হবে।
৫. অবিলম্বে চিকিৎসক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বেসরকারি চিকিৎসকদের জন্য সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো (পে-স্কেল) তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন