Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫


ওসমানী মেডিকেলে জন্মবধির রোগীর শততম কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী সম্পন্ন

Main Image

বুধবার (৫ মার্চ) মুনতাহা নামের ৩ বছরের জন্মবধির শিশুর কানে শততম ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. নূরুল হুদা নাঈম ও তাঁর দল


সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ তম কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সার্জারী সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (৫ মার্চ) মুনতাহা নামের ৩ বছরের জন্মবধির শিশুর কানে শততম ইমপ্লান্ট সফলভাবে প্রতিস্থাপন করেন নাক-কান-গলা ও হেড-নেক সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. নূরুল হুদা নাঈম।

 

সার্জারী টিমে অনান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, ডা. তারিকুল ইসলাম আনন্দ, ডা. টিএম ইমরান আহমদ, ডা. মো. এনামুল ইসলাম, ডা. মো. ময়নুল  ইসলাম, ডা. ওসমান, ডা. অনিক।

 

এনেস্থেসিওলজিস্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন ডা. সায়্যেদা রাহিমা আক্তার রুমী। অডিওলজিস্ট রুবাইয়্যা রহমান। সিনিয়র স্টাফ নার্স সুপ্তা চক্রবর্তী।

 

কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট সিওমেকহা প্রকল্প পরিচালক ডা. নূরুল হুদা নাঈম তাঁর অনুভূতি জানাতে গিয়ে প্রথমেই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন এবং বলেন একটা জন্মবধির শিশু কথা বলতে পারেনা-এই চিকিৎসার মাধ্যমে সে কথা শুনতে পারবে এবং কথা বলতেও পারবে। এ প্রক্রিয়ার সাথে আমি জড়িত ছিলাম এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। সবচেয়ে ভালো লাগছে বাচ্চার মা সন্তানের মূখে মা ডাক শুনবেন,বাবা শুনবেন বাবা ডাক। যাদের বাচ্চা কথা বলতে পারে না তারাই বেশী অনুভব করতে পারবেন এই কষ্ট। সুতরাং  মা-বাবার আনন্দ আমাকে আবেগাপ্লুত করে।

 

তিনি জানান, জন্মবধির অথবা মারাত্মক বধীরদের জন্য কানে শোনার এই কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট অপারেশন ওসমানীতে চালু রয়েছে। আপনাদের পরিচিতদের মধ্যে ও কেউ এমন জন্মবধীর বয়স ৫ বছরের নিচে হলে যোগাযোগ করতে পারেন।

 

সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা জানান, জন্ম থেকে পাঁচ বছর বয়সী যেসব শিশু বধিরতায় ভোগে, এমন শিশুদের চিকিৎসায় কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রতিস্থাপন করার প্রয়োজন পড়ে। শুরুতে কেবল ঢাকাতেই এ চিকিৎসা হতো। ঢাকার বাইরে সিলেট ও চট্টগ্রামে সরকারিভাবে এমন চিকিৎসা চালুর জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। এটি বাস্তবায়ন করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২০২০-২১ অর্থবছরে সিলেটে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০২২ সালের ২৫ মে থেকে সিলেটে এ চিকিৎসা শুরু হয়।

 

চিকিৎসকেরা আরও বলেন, বাংলাদেশে এক দশক আগেও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রতিস্থাপন চিকিৎসা প্রচলিত ছিল না। আগে বিদেশে এ চিকিৎসায় খরচ হতো প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা। এখন দেশেই সরকারিভাবে এ চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে। দেশে এখন বেসরকারিভাবে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকায় এই চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। 

আরও পড়ুন