ছবিঃ সংগৃহীত
চিকিৎসার ফলোআপের জন্য ফের লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ২৭ জুলাই সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের ঘনিষ্ঠ সূত্র ও বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন বেগম জিয়া। চিকিৎসকদের পরামর্শে এবার তার লন্ডন যাত্রার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেডিকেল বোর্ডের মতামতের ভিত্তিতেই এ ফলোআপ সফর চূড়ান্ত করা হয়।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লন্ডনে যান বেগম জিয়া। প্রায় চার মাস সেখানে অবস্থানকালে জানুয়ারির পুরোটা সময় তিনি ছিলেন স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি। পরবর্তী তিন মাস ছিলেন বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসভবনে। সেখান থেকেই চলছিল তার নিয়মিত চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম।
দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন মামলায় কারাবন্দি ও গৃহবন্দিত্বের মধ্যে কাটে বেগম জিয়ার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবন। সে সময় পরিবার ও বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হলেও কোনো সদুত্তর মেলেনি। এমনকি আন্তর্জাতিক মহল থেকেও তার চিকিৎসার অধিকারকে সম্মান জানাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র ও সাধারণ জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগে বাধ্য হন। এরপরই বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান বেগম খালেদা জিয়া। তখন কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি ঢাকা ছাড়েন।
বিএনপি নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল থাকলেও উন্নত পর্যবেক্ষণ এবং আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসার প্রয়োজনে তাকে পুনরায় লন্ডন পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন