প্ল্যানেটারি হেলথ অ্যাকাডেমিয়া ও চ্যানেল 24-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংস্কারের প্রতিশ্রুতি: সুযোগ, বাধা এবং বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ওয়েবিনার সম্পন্ন
স্বাস্থ্যখাতের বাজেট বাড়িয়ে জনগণের নিজের পকেট থেকে খরচ কমানোর সুপারিশের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি, সংস্কার কমিশনের সঙ্গে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের সরকার গঠন পরবর্তীতে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির কথা বলেন। সম্প্রতি প্ল্যানেটারি হেলথ অ্যাকাডেমিয়া ও চ্যানেল 24-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সংস্কারের প্রতিশ্রুতি: সুযোগ, বাধা এবং বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্যের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওয়েবিনার সঞ্চালনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল হেলথ ডিপার্টমেন্টের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজীব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গঠিত স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্ভাব্য বিভিন্ন সংস্কারের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
জাতীয় অধ্যাপক ড. এ. কে. আজাদ খান বলেন, দুর্নীতি ও সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে বর্তমান অবকাঠামোতেই সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। পাইলট প্রজেক্টের আওতায় খুব অল্প খরচে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ করা সম্ভব হয়েছে। এটা জাতীয় পর্যায়েও করা সম্ভব। একইসঙ্গে স্বাস্থ্যখাতের জনবল শক্তিশালীকরণ ও আধুনিকীকরণ করে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে পরিপূর্ণ সংস্কার করা সম্ভব বলে জানান তিনি।
জাতীয় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেন, অতীতে রাজনৈতিক সরকারগুলো স্বাস্থ্য অবকাঠামো হিসেবে সাধারণভাবে শুধু হাসপাতাল ও ক্লিনিক স্থাপনের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়েছেন। কিন্তু সেগুলোকে কার্যকরী করতে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বর্তমানে লাইসেন্সবিহীন প্রায় এক হাজার হাসপাতাল ও ক্লিনিক চালু রয়েছে বলে জানান তিনি।
জাতীয় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মুজাহেরুল হক বলেন, কেবল চিকিৎসা প্রদানই সেবা প্রদানকারীর দায়িত্ব নয়। বরং চিকিৎসা প্রদান সেবা গ্রহীতা ও সেবা প্রদানকারীর সামগ্রিক সম্পর্কের একটা অংশ মাত্র। এটা মাথায় রেখে সেবা গ্রহীতার সঙ্গে সেবা প্রদানকারীদের আচরণ করা উচিত। এ সব বিষয় শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে এসব বিষয় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেন তিনি।
জাতীয় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী বলেন, স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে সংস্কার করে ঢেলে সাজানোর সুপারিশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে হবে এবং রাষ্ট্রকে এর দায়িত্ব নিতে হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বজনীন করে সেকেন্ডারি ও টারশিয়ারি হেলথ কেয়ারকে বর্তমানে প্রচলিত ভর্তুকির মাধ্যমে অথবা স্বাস্থ্য বীমার মাধ্যমে সহজলভ্য করা যায় কি না তা যাচাই করে দেখার পরামর্শ দেন তিনি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্র্যান্টস স্কুল পাবলিক হেলথের সাবেক ডিন এবং জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আহমেদ মুশতাক রাজা চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যখাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে থাইল্যান্ডের আদলে ন্যাশনাল হেলথ সিকিউরিটি অফিস স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিভিন্ন কমিটিতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। এছাড়াও দেশে স্বাস্থ্যবিষয়ক যেসব গবেষণা প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর গবেষণার সক্ষমতা ও গবেষণার ফলাফল নিরীক্ষার ব্যাপারেও মতামত দেন অধ্যাপক ড. আহমেদ মুশতাক রাজা চৌধুরী।
জাতীয় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং রোগতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. এ এম জাকির হোসেন বলেন,স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নেতৃস্থানীয় পদগুলোতে বছরের পর বছর অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যাদের নিজেদের কোনো দক্ষতা ও সক্ষমতা নেই, তাই তাদের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য কোনো কিছু অর্জিত হয়নি। বাংলাদেশে ডাক্তার, নার্স ও প্যারামেডিকের আনুপাতিক অসম বণ্টন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায়। সঠিক তথ্য উপাত্ত নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হলেও সেগুলো বাস্তবায়নের সময় বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক ও প্রশাসনিক বাধার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় না। তিনি সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সেই সেবা সহজলভ্য করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।
রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর রোগতত্ত্বর সাবেক পরিচালক এবং সংক্রামক রোগতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সঠিক জায়গায় সঠিক ব্যক্তির অভাবকে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যসেবা ও জনস্বাস্থ্যকে আলাদা করার সুপারিশ করেন। স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অনেক অগ্রগতি থাকলেও রেফারেল সিস্টেম নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ না হওয়ায় টারশিয়ারি লেভেলে রোগীদের চাপ বহুলাংশে বৃদ্ধি হয়েছে বলে জানান।
নিয়মিতভাবে বিভেভিওরাল রিস্ক ফ্যাক্টর সার্ভেইলেন্সের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। এতদিনেও এসব বাস্তবায়িত না হওয়ার পেছনে তিনি রাজনৈতিক সরকারের স্বল্পমেয়াদী নির্বাচনকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনাকে দোষারোপ করেন। অর্থায়নের ক্ষেত্রে অর্থের পরিমাণের চেয়েও তিনি বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ার প্রতি মনযোগী হওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেন। এভিডেন্স বেজড সার্ভেইলেন্স নিশ্চিত করতে এমআইএস’র গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো ও কমানোর ব্যাপারে আবশ্যিকভাবে এ ব্যাপারে অভিজ্ঞদের মতামত নেয়া নিশ্চিত করতে সুপারিশ প্রদান করেন।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্যানডেমিক সায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের গবেষক এবং আইসিডিডিআর,বি’র সহযোগী বিজ্ঞানী ড. জাকিউল হাসান দীর্ঘমেয়াদে ইলেকট্রনিক হেলথ রেকর্ড সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। যেন সেবা প্রদানকারীরা রিয়েল টাইমে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে এভিডেন্স বেজড সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। বর্তমানে সেবা গ্রহীতাদের বিভিন্ন ধরনের তথ্য-উপাত্ত সংগৃহীত হলেও তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সে বিষয়ে দক্ষতা ও সক্ষমতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এ তথ্যকে আরও আধুনিকভাবে ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ব্যাপারে তিনি সুপারিশ করেন। এছাড়াও টেকসই অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে অর্থায়নের ওপর নির্ভর না করে জাতীয় বাজেট বা স্থানীয় ভিত্তিতে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ হেলথ অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের ডীন অধ্যাপক ড. দীপক কুমার মিত্র স্বাস্থ্যখাতে অর্থায়নের পাশাপাশি রেফারেল সিস্টেম বাস্তবায়নে সেবা প্রার্থীদের নিজের পকেট থেকে খরচ কমানোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। সেবা প্রার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সেবা প্রদানকারীদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের প্রতিও জোর দেন। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অসদাচরণ, ভুল চিকিৎসা, অপ চিকিৎসা, মেডিকেল এরর ইত্যাদি বিষয়াবলীর মাঝে সুস্পষ্ট পার্থক্য করে সংজ্ঞায়িত করার সুপারিশ করেন। বিভিন্ন প্রকল্প থেকে অর্থ সাশ্রয় করে সারভেইলেন্স করার পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ সম্পদকে কাজে লাগিয়ে স্থায়ী সারভেইলেন্স ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেন। সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে বিদেশী সংস্থার ফান্ড ব্যবহারকে সাধুবাদ জানালেও অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে বিদেশি সংস্থার অংশীদারিত্ব না থাকায় নিজস্ব অর্থায়নকে কাজে লাগানোর পরামর্শ প্রদান করেন।
পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারপারসন এবং বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শারমিন ইয়াসমিন মেডিকেল কারিকুলামকে আধুনিকীকরণের ওপর জোর দেন। সর্বশেষ কারিকুলাম ৪ বছর আগে সংশোধিত হলেও যেহেতু সাধারণভাবে ৫ বছর না হলে নতুন কোনো কারিকুলাম পর্যালোচনা করা হয় না, তাই বর্তমান কারিকুলাম কতটুকু সফল তা যাচাই করার সময় এখনও হয়নি। তবে এই কারিকুলাম সংশোধিত হলেও তা মূলত সেই পুরাতন কারিকুলামকে কেন্দ্র করেই সম্পাদিত হয়েছে বলে তিনি এ কারিকুলামকে সম্পূর্ণভাবে ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করেন। মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।
নিরপেক্ষ জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করে নিয়োগ, পদোন্নতি ইত্যাদি পরিচালনা করলে এই খাতে দুর্নীতি কম হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। মেডিকেল কলেজের মেডিকেল এডুকেশন ইউনিটগুলোকে কার্যকর ও শক্তিশালী করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন ইত্যাদি কার্যাবলি পরিচালনা করার কথা বলেন। স্কুল হেলথ প্রোগ্রামকে পুনরায় সচল করে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সেখানে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কাজ করানোর পরামর্শ দেন। এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবী কাজ মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত করলে শিক্ষার্থীদের মানবিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতাও বাড়বে বলে অভিমত দেন। এছাড়াও প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল’ গঠন করে কাজের মান ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গ্লোবাল হেলথের চেয়ার অধ্যাপক ড. রাজীব চৌধুরী বলেন, প্রথমত, যেকোনো সংস্কার উদ্যোগ তখনই সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব যদি তা সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত হয়। তাই নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোকে যথাযথ অনুমোদন দিতে হবে এবং তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, কমিশনের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ও সময়সূচী সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ রোডম্যাপ থাকা দরকার।
উদাহরণস্বরূপ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন স্থানীয়ভাবে উপযুক্ত এবং এভিডেন্স ভিত্তিক হওয়ার জন্য স্বল্প পরিসরে প্রাক-পাইলটিং প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে, যা সফল হলে পরবর্তীতে কলেবর বাড়ানো হবে। তৃতীয়ত, বাংলাদেশে জনসংখ্যার তুলনায় সম্পদ সীমিত হওয়ায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থাই হবে উত্তম ব্যবস্থা। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে যেসব কমিউনিটি ভিত্তিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে, তা বাস্তবায়নের জন্য জনস্বাস্থ্য খাতে দক্ষ জনবল প্রয়োজন। তাই, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের পাশাপাশি বিসিএস জনস্বাস্থ্য ক্যাডার তৈরি করতে হবে, যারা মূলত জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কার্যক্রমে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হবে। পাশাপাশি ক্লিনিকাল কার্যক্রমে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন