Ad
Advertisement
Doctor TV

শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫


দেশজুড়ে ১ কোটি ৭০ লাখ শিশুকে টাইফয়েড টিকা, চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭০ লাখ শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হয়েছে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সব শিশুই বিনামূল্যে এই টিকার আওতায় আসছে। আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই টিকাদান কর্মসূচি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভাটি আয়োজন করে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই), ইউনিসেফ বাংলাদেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে “টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য ও শক্তিশালীকরণ” বিষয়ে আলোচনা হয়।

 

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে ১ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাই টাইফয়েডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি। ২০২১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সে বছর দেশে টাইফয়েডে মারা যান প্রায় ৮ হাজার মানুষ, যার মধ্যে প্রায় ৬ হাজারই ছিলেন ১৫ বছরের নিচে। দূষিত পানি ও অস্বাস্থ্যকর খাবারই এই রোগের মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত।

 

ইপিআই অ্যান্ড সারভিলেন্সের উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাজ্জাদ সভায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

বক্তারা বলেন, সরকার সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে টিকাদান কর্মসূচিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। টিকাদান কার্যক্রমে বাংলাদেশের অর্জন ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত।

 

বর্তমানে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫’ এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনে মাদ্রাসা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ (প্লে/নার্সারি থেকে ৯ম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত) সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা শিশুদেরও টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ শিশুকে এক ডোজ টিসিভি টিকা প্রদান।

গত ১২ অক্টোবর থেকে সারা দেশে এ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ দপিকা শর্মা।

আরও পড়ুন