Ad
Advertisement
Doctor TV

শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫


রংপুরের পীরগঞ্জে আরও ৯ জনের অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ

Main Image

ছবিঃ সংগৃহীত


রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় নতুন করে আরও ৯ জনের মধ্যে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ শনাক্ত হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাসুদ রানা বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আক্রান্তরা রামনাথপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর ও চেরাগপুর গ্রামের বাসিন্দা।

 

স্থানীয়রা জানান, চেরাগপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে সাদেক আলী ৪ অক্টোবর অসুস্থ একটি গরু জবাই করে মাংস ১৮টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ করেন। একইভাবে ১১ অক্টোবর দ্বারিয়াপুর গ্রামের টুটুল মিয়াও অসুস্থ গরু জবাই করে গ্রামবাসীর মধ্যে মাংস ভাগ করে দেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব গরুর মাংস খাওয়া বা কাটাকাটির সময় সংস্পর্শে আসার ফলে লোকজন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।

 

আক্রান্ত শিল্পী, মামুন ও খোরশেদ বলেন, গরু জবাইয়ের পরপরই কয়েকজনের শরীরে ঘা দেখা দেয়। তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে ফিরে যান।

রংপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, সোমবার পর্যন্ত জেলার পীরগাছায় ৩৮, কাউনিয়ায় ১৮, মিঠাপুকুরে ১২, গঙ্গাচড়ায় ৭ ও পীরগঞ্জে একজনসহ মোট ৭৮ জন সন্দেহভাজন অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পীরগঞ্জের নতুন ৯ জন আক্রান্তের তথ্য এখনো ওই হিসাবের অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. শাহীন সুলতানা জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের অ্যানথ্রাক্স নিশ্চিত হয়েছে। তবে সন্দেহভাজন রোগীর সংখ্যা আরও বেশি। রোগীর শরীরে কাঁচা ঘা না থাকলে নমুনা সংগ্রহ সম্ভব নয়—ফলে অনেক ক্ষেত্রেই নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা যায় না।

 

এর আগে গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গে দুজনের মৃত্যু হয়। পরে গাইবান্ধায়ও একাধিক আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সর্বশেষ ৪ অক্টোবর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রোজিনা বেগম (৪৫) অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

আরও পড়ুন