Advertisement
Doctor TV

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫


সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারসহ সব নিয়োগ বাতিল

Main Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনস্থ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনস্থ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রক্রিয়াধীন মেডিকেল অফিসার, কনসালটেন্ট, সিনিয়র স্টাফ নার্সসহ সকল নিয়োগ কার্যক্রম বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অনিয়মের দায়ে উত্তীর্ণ ৫৪৪ জনের ফলাফল বাতিল করে অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন দেয়া হবে।   

 

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তৃতীয় দফায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং সুপারিশের ভিত্তিতে পুরো নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সূত্রঃ আরটিভি অনলাইন

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৩ জুলাই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের শূন্য পদে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেখানে ৫২ পদে ৫৪৪ জনকে নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়। পদগুলোর মধ্যে- কনসালট্যান্ট পদে ৯৬ জন, মেডিকেল অফিসার (মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, অর্থোপেডিকস) পদে ৬০ জন, সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে ২২৫ জনকে নিয়োগের কথা বলা হয়। বাকিপদগুলোতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত পরিচালক (অর্থ), পরিচালক (আইটি), টেকনিশিয়ান, টেকনোলজিস্ট নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়।

 

এ প্রসঙ্গে বিএসএমএমইউ রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তৃতীয় দফা তদন্তে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি ও অনিয়মের তথ্য মিলেছে। তাই সিন্ডিকেট সভায় উত্তীর্ণদের ফলাফল বাতিল করে নতুন নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন হবে। সেখানে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।

 

তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিনের একক ক্ষমতায় নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মেডিক্যাল অফিসার, কনসালট্যান্ট, সিনিয়র স্টাফনার্সসহ প্রায় ১ হাজার প্রার্থী। যাদের সবার নিয়োগ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তৃতীয় দফায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং সুপারিশের ভিত্তিতে পুরো নিয়োগ কার্যক্রম বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

 

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেনড্রাইভে করে ৩০০ প্রশ্ন চুরি করে সেগুলো চক্রের সদস্যদের কাছে সরবরাহ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জাহিদুল ইসলাম ও কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফয়সাল ইবনে কবির। এ কাজে তাদের সহযোগিতা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান। তারাই চাকরি প্রত্যাশীদের কাছে তা বিক্রি করেন। এই চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন- সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. রসুল আমিন, একই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. জাহিদ হাসান পলাশ, বিএসএমএমইউর নিউরো সার্জারি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. আবেদ আব্বাস, কনজারভেটিভ ডেনটিস্ট বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মোমিনুর রহমান ও ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাঈনুল মাহমুদ সানী।

আরও পড়ুন