প্রথম শ্রেণির প্রাণিজ প্রোটিন- ডিম, দুধ, মাছ ও মাংস
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি), বিশ্ব প্রোটিন দিবস। প্রোটিনবিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি এবং সবার জন্য প্রোটিনের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে দিবসটি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ফুয়েলিং সাউথ এশিয়া: দ্য রাইট প্রোটিন, দ্য রাইট ওয়ে’। বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) ও ইউএস সয়াবিন এক্সপোর্ট কাউন্সিল (ইউএসএসইসি) যৌথভাবে দিবসটি পালন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর বসুন্ধরায় বিপিআইসিসির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে- দক্ষিণ এশিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের স্বল্পতা রয়েছে। এ ঘাটতির কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. খালেদা ইসলাম বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রোটিনের গুরুত্ব ও এর উৎস সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে, যার কারণে মানুষ পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করছে না।
বারডেম হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া বলেন, প্রোটিন আমাদের অধিকার। ইট যেমন একটির পর একটি সাজিয়ে বিল্ডিং তৈরি হয়, তেমনি মানবদেহের বিল্ডিং ব্লক হচ্ছে প্রোটিন। আমাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ প্রোটিনের ওপর নির্ভরশীল। ভেগান ও ভেজিটেরিয়ানদের ক্ষেত্রে প্রোটিন ঘাটতির ঝুঁকি অনেক বেশি। প্রোটিনের অভাবে গর্ভধারণজনিত সমস্যা, এনিমিয়া, আলঝেইমার রোগসহ নানাবিধ অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, ডিম, দুধ, মাছ ও মাংস হচ্ছে প্রাণিজ প্রোটিন এবং এগুলো হচ্ছে প্রথম শ্রেণির প্রোটিন। অন্যদিকে সয়াবিন, তফু, ডাল, বীজ ইত্যাদি উদ্ভিজ্জ প্রোটিনগুলোও পুষ্টি চাহিদা পূরণে বেশ কার্যকর। আমাদের প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া উচিত। ডিমের একটি উপাদান হচ্ছে কোলিন, যা আমাদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজন। এতে আরও রয়েছে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
আরও পড়ুন