Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


বাংলাদেশেও এইচএমপিভি’র রোগী শনাক্ত

Main Image

হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)


এবার বাংলাদেশেও শনাক্ত হলো চীনে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস বা এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী। শনিবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর ডিরেক্টর এবং ভাইরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের যৌথ স্বাক্ষরিত রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।  

 

রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত ব্যক্তি একজন নারী। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে।

 

প্রসঙ্গতঃ বর্তমানে এইচএমপিভি-এর চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল থেরাপি নেই। এবং এইচএমপিভি প্রতিরোধ করার জন্য কোনো ভ্যাকসিন নেই। তাই রোগের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়। 

 

 

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) মূলত শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস। এতে আক্রান্ত হলে শরীরে ফ্লু বা সর্দি-সদৃশ উপসর্গ যেমন- কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা এবং জ্বর দেখা দেয়। ভাইরাসটি মৃদু প্রকৃতির হলেও এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পরে; সৃষ্টি করতে পরে ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো গুরুতর জটিলতা।

 

এইচএমপিভি মূলত রেসপাইরেটরি সিনসিটিয়াল ভাইরাস (আরএসভি)- এর পরিবারভুক্ত। ২০০১ সাল এটি প্রথম নেদারল্যান্ডে শনাক্ত হয়। শীতকালে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেশি। এইচএমপিভি-তে আক্রান্ত হলে এর প্রভাব সাধারণত কয়েক দিন থেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। তবে গুরুতর ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। 

 

এইচএমপিভি মোকাবেলা সম্পর্কে ভাইরোলজিস্ট ডা. আরিফা আকরাম বলেন, নিয়ম মেনে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা, আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার করলে এই ভাইরাস থেকে নিরাপদে থাকা সম্ভব।

 

সম্প্রতি এক কলামে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. এ.কে.এম. আরিফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ২০০১ সালে প্রথম এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হয়। আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ডব্লিউ এ ব্রুক্সের নেতৃত্বে ইউএসএর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথের অর্থায়নে আইসিডিডিআরবির সহযোগিতায় ঢাকার কমলাপুরে একটি গবেষণা পরিচালিত হয়। সেখানে ১৩ বছরের কম শ্বাসতন্ত্রীয় রোগীর দেহে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এইচএমপিভি ভাইরাস পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন