Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

Main Image

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির নির্বাচন


ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির নির্বাচন। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। যা চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে দুটি পৃথক প্যানেল ছাড়াও লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

নির্বাচনে সাধারণ ভোটার ৯ হাজার ৭৪৪ এবং ডোনার ভোটার ৩৯৪ জন। নির্বাচনে সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন-রেজাউল করিম আজাদ এবং ডা. কামরুন নেছা রুনা-ডা. এম মাহফুজুর রহমান প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্যানেলের বাইরে সদস্য পদে স্বতন্ত্র ৪৩ জন নির্বাচন করছেন। ২৪টি পদ থাকলেও তিনটি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভোগ গ্রহণের জন্য আছে ৩৩টি বুথ। প্রতিটি বুথে একজন প্রিসাইডিং অফিসার, একজন পুলিং অফিসার ও একজন কেন্দ্রসহায়ক দায়িত্ব পালন করবেন। হাসপাতালের পুরনো ভবন এবং মহিলা হোস্টেল ভবনে ভোট গ্রহণ করা হয়।

 

নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ও বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করি দিন শেষে সবার সহযোগিতায় সুন্দর একটি নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

 

বর্তমানে ৯৫০ শয্যার চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালটিতে ২১টি অন্তর্বিভাগে দৈনিক গড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন ভর্তি থাকে এবং ৩০টি বহির্বিভাগে দৈনিক গড়ে ২ হাজার রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করে।  

 

১৯৭৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক শিশুবর্ষ উপলক্ষে চট্টগ্রামের কিছু মানবহিতৈষীর উদ্যোগে ৭০ হাজার বর্গফুট আয়তনে ‘চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যাত্রা করেছিল কেবল শিশুস্বাস্থ্য বহির্বিভাগ দিয়ে। বর্তমানে হাসপাতালের অধীন পরিচালিত হচ্ছে ১০টি বিশেষ প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালের ২১টি অন্তর্বিভাগ ও ৩০টি বহির্বিভাগে সাধারণ এবং বিশেষায়িত সেবা দেওয়া হচ্ছে। ফলে এটি এখন চট্টগ্রামের শিশু ও সাধারণ স্বাস্থ্যসেবার দিকপাল। হাসপাতালটি পরিচালিত হয় জনগণের টাকায়। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে বর্তমানে সব মিলে ৯৫০টি শয্যা আছে। ২১টি অন্তর্বিভাগে দৈনিক গড়ে ৮০০ থেকে ৮৫০ জন ভর্তি থাকে এবং ৩০টি বহির্বিভাগে দৈনিক গড়ে ২ হাজার রোগী চিকিৎসা গ্রহণ করে। গত এক বছরে হাসপাতাল থেকে ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকার বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান এবং বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয় ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার। 

 

বর্তমানে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে ১০টি প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে আছে ৯৫০ শয্যার চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল, ১০০ শয্যার মা ও শিশু হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ, মা ও শিশু হাসপাতাল ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ, মা ও শিশু হাসপাতাল নার্সিং ইনস্টিটিউট, মা ও শিশু হাসপাতাল শামসুন নাহার নার্সিং কলেজ, মা ও শিশু হাসপাতাল অটিজম অ্যান্ড চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, মা ও শিশু হাসপাতাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ডেন্টাল কলেজ। তাছাড়া হাসপাতালে বিশেষায়িত সেবার মধ্যে আছে ৩৪ শয্যার অত্যাধুনিক সিসিইউ ও ক্যাথল্যাব সেন্টার, ৩০ শয্যার আইসিইউ ও এইচডিইউ, দুটি মডিউলার অপারেশন থিয়েটারসহ মোট নয়টি অপারেশন থিয়েটার কমপ্লেক্স, ৪৫ শয্যার এনআইসিইউসহ মোট ৮০ শয্যার নিউনেটাল ওয়ার্ড, ৫০ শয্যায় পেডিয়াট্রিক আইসিইউ ওয়ার্ড, হেমোডায়ালাইসিস ইউনিট, সমৃদ্ধ রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং ও ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগ, ২০০ শয্যার গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগ, ২০ শয্যার নিউরোসার্জারি ওয়ার্ড, জরুরি বিভাগের রোগীর জন্য ২০ শয্যার এএমইউ ও ইমারজেন্সি বিভাগ এবং বহির্বিভাগের মুমূর্ষু শিশু রোগীর দ্রুত চিকিৎসায় ‘শিশু এএমইউ ও ইমারজেন্সি ইউনিট’। স্থাপন করা হয়েছে অক্সিজেন জেনারেশন প্লান্ট।

আরও পড়ুন