Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


ফিস্টুলা নির্মূলে ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন সম্পন্ন

Main Image

২০৩০ সালের মধ্যে নারীদের প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মূলের প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে ঢাকায় দুই দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুক্রবার সম্পন্ন


২০৩০ সালের মধ্যে নারীদের প্রসবজনিত ফিস্টুলা নির্মূলের প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে ঢাকায় দুই দিনব্যাপি আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুক্রবার সম্পন্ন হয়েছে। এরআগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারের (বিআইসিসি) লিজান্ডারি হলে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব অবস্টেট্রিক ফিস্টুলা সার্জন্স (আইএসওএফএস) আয়োজিত সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়। 

 

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে সভাপতিত্ব করেন আইএসওএফএস সভাপতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার।

 

সেখানে জানানো হয়, এবারের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য প্রসবজনিত ফিস্টুলা সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি, উন্নত চিকিৎসার সুযোগ তৈরি করা এবং এই রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী যৌথ প্রচেষ্টা গড়ে তোলা। এই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাঁচ শতাধিক চিকিৎসক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষক একত্রিত হবেন বলেও জানানো হয়।

 

এতে আরও বলা হয়, ফিস্টুলা নির্মূলের জন্য চিকিৎসকদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি। সার্জনরা যাতে সঠিক সময় এবং উপযুক্ত পদ্ধতিতে ফিস্টুলার চিকিসাস করতে পারেন, সেজন্য তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

 

আয়োজকরা বলেন, ফিস্টুলা নির্মূলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো নারীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সঠিকভাবে পৌঁছানো। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে, যেখানে স্বাস্থ্য সেবার অভাব রয়েছে, সেখানেই স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ফিস্টুলা রোগীদের শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের মানসিক সহায়তা এবং পুনর্বাসনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ রোগে আক্রান্ত নারীরা সমাজে ব্যাপকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

 

কনফারেন্সে সভাপতি অধ্যাপক সায়েবা আখতার তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ফিস্টুলা নির্মূলের লক্ষ্যে সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে নারীদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর জন্য আমরা প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি করছি।

 

তিনি আরও বলেন, ফিস্টুলা নির্মূলের জন্য সরকারের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রকল্পের মধ্যে কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আমরা এনজিও, দাতা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে একযোগে কাজ করছি এবং আশা করছি যে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এই রোগ নির্মূল করতে সক্ষম হবো।

 

এই আয়োজনের প্রথম দিনে আন্তর্জাতিক প্রসূতি ফিস্টুলা ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে ফিস্টুলা নির্মূলের জন্য বৈশ্বিক রোডম্যাপ চূড়ান্ত করা হয়। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন ফোরাম ও প্যানেলে অংশগ্রহণ করেন।

 

এর আগে ওজিএসবি হাসপাতালে ৯ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কনফারেন্স পূর্ববর্তী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দেশ-বিদেশের বিখ্যাত ফিস্টুলা সার্জনরা অংশগ্রহণ করেন।

 

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তিনি ফিস্টুলা সার্জনদের অনুপ্রাণিত করেন এবং সম্মেলনের জন্য শুভকামনা জানান। এ ছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন