১২ ডিসেম্বর, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিবস
আজ ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার), দেশে পালিত হচ্ছে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা দিবস, ২০২৪। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘স্বাস্থ্য: এটি পরিবারের নাকি সরকারের দায়িত্ব’।
দেশে এখনো নিশ্চিত হয়নি মানসম্মত সেবা। ১৯৯৭ সাল থেকে মোট স্বাস্থ্যব্যয়ে সরকারের ভাগ ক্রমান্বয়ে ছোট হচ্ছে। এতে হিমশিম খাচ্ছেন রোগীরা। ২০১২ সালে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট কৌশলপত্র তৈরির সময় ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ছিল ৬৪ শতাংশ। ২০৩০ সালের মধ্যে যা ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে এটি না কমে বরং বেড়েছে। অথচ সব মানুষের জন্য বিনা মূল্যে বা স্বল্পমূল্যে গুণগত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাই ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার মূলনীতি’।
স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮, ২০১৯ ও ২০২০ সালে চিকিৎসা ব্যয়ে সরকারের অংশ ছিল যথাক্রমে মোট ব্যয়ের ২৮, ২৬ ও ২৩ শতাংশ। আর ঐ বছরগুলোতে ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ছিল ৬৪, ৬৬ ও ৬৯ শতাংশ। এ ব্যয় করতে গিয়ে বছরে ৮৬ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। চিকিৎসার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় হচ্ছে ওষুধ কিনতে। এতে ব্যয় ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, বাংলাদেশে যাদের পয়সা আছে তারা স্বাস্থ্যসেবা ভালোই পায়। যারা কম পয়সাওয়ালা, তাদের অনেকেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের কারণে দরিদ্র হয়ে যায়। আর যারা গরিব তাদের সন্তোষজনক চিকিৎসা পাওয়ার বন্দোবস্ত বাংলাদেশে নেই।
আরও পড়ুন