ডা. মাহমুদা মিতু ও ডা. আব্দুল আহাদ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সংহত করে দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ২ জন চিকিৎসকসহ ৫৫ সদস্যের জাতীয় নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে স্থান পাওয়া দুই চিকিৎসক হলেন- ডা. মাহমুদা মিতু ও ডা. আব্দুল আহাদ। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক করে ৫৫ সদস্যে জাতীয় কমিটি ঘোষণাি করা হয়। এতে সদস্য সচিব পদে দায়িত্ব পালন করবেন ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন।
ডা. মাহমুদা মিতুর জন্ম বরগুনা জেলার বেতাগীতে। তিনি বেতাগী গার্লস হাই স্কুল এসএসসি এবং বেতাগী সরকারি ডিগ্রী কলেজ এইচএসসি পাস করেন। পরে তিনি রাজধানীর গুলশানের শাহাবুদ্দীন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী। বর্তমানে পোষ্ট গ্রাজুয়েট ট্রেইনি হিসেবে আজিমপুর ম্যাটার্নিটিতে গাইনিতে কর্মরত আছেন। তার স্বামীও চিকিৎসক, কর্মরত আছেন শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে। ছোট বেলা থেকেই গান,নাচ,কবিতা আবৃত্তি আর বিতর্কে তুখোড় এই চিকিৎসক গর্ভবতী নারীদের নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন। করোনা পরবর্তী সময়ে গড়ে তোলা ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ৩০ হাজারের অধিক গর্ভবতী নারীকে সেবা দিয়েছেন তিনি।
ডা. আব্দুল আহাদের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুর জেলায়। সেখানে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) নিউরোসার্জারি বিভাগে উচ্চতর কোর্সে অধ্যয়নরত আছেন।
কমিটি ঘোষণার পর এর মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে কাজ শুরু করছে। অচিরেই সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের সঙ্গে তারা আলোচনা করবে। তৃণমূল পর্যন্ত এ কমিটির বিস্তৃতি ঘটানোর মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শক্তিকে সংহত করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন