Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


বিশ্বের সর্বপ্রথম এক্স-রে এবং স্ত্রীর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন

Main Image

বিশ্বের সর্বপ্রথম এক্স-রে এবং স্ত্রীর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন (ইনসেটে ডা. সাঈদ এনাম)


বিশ্বের বেশীর ভাগ গবেষক, সাইন্টিস্ট তাদের গবেষণায় সবচেয়ে বেশী সহযোগিতা যাঁর কাছ থেকে পেয়ে থাকেন তিনি হলেন তাঁর জীবনসঙ্গী।

এই এক্সরে'টি হলো বিশ্বের সর্বপ্রথম সফল এক্সরে ফিল্ম। এটি ১৮৯৫ সালের সালের ৮ই নভেম্বর নেওয়া হয়েছে।

এতে দেখা যাচ্ছে একটি হাতের আঙুলসহ কব্জি এবং একটি ধাতব রিং। এই এক্সরে মিসেস বার্থার বাম হাতের কব্জি। আর এক্সরে'তে যে ধাতব রিং দৃশ্যমান, তা আর কিছুই নয় এটি বার্থার বিয়ের আংটি। এ আংটি তাঁর স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া প্রথম উপহার।

কে তাঁর স্বামী? কি জন্যে ছবিটি বিখ্যাত?

বার্থার স্বামী হলেন স্যার ডব্লিউ উইলহেম কনরাড রন্টজেন। আর স্যার রন্টজেন এই এক্সরে প্রযুক্তির উদ্ভাবক।

এই এক্স-রে ফিল্ম এর মাধ্যমে বিজ্ঞানী রন্টজেন নিশ্চিত হন, অদৃশ্য এক্স-রে রশ্মি ধাতব পদার্থ বা হাড় ভেদ করতে পারেনা। তাছাড়া মানব দেহের সকল নরম কোষ ভেদ করতে পারে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্যে স্যার রন্টজেন এর এই আবিষ্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্স-রে রশ্মির আবিষ্কার না হলে হয়তো চিকিৎসা বিজ্ঞান আজো অন্ধকারেই থাকতো।

রোগ নির্ণয় এবং রোগের চিকিৎসায় এক্স-রে রশ্মির গুরুত্ব অপরিসীম।

এ আবিষ্কার এর জন্যে ১৯০১ সালে স্যার রন্টজেনকে নোবেল পুরস্কার পান। তাঁকে বলা হয় রেডিওলজির জনক। নোবেল পুরস্কার এর জন্যে প্রাপ্ত সমুদয় টাকা স্যার রন্টজেন দান করে দেন গবেষণায়।

লেখকঃ

ডা. সাঈদ এনাম
এম বি বি এস (ডিএমসি কে-৫২) এম ফিল সাইকিয়াট্রি।
সহকারী অধ্যাপক, সিলেট মেডিকেল কলেজ।

আরও পড়ুন