রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে মিডওয়াইফারি খাতে বিনিয়োগের গুরুত্বারোপ নিয়ে আলোচনা
মিডওয়াইফারি পেশায় বিদ্যমান শূন্যতা পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মিডওয়াইফারি মহাপরিচালক মাকসুদা নুর এনডিসি।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের জন্য নির্ধারিত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আমরা মিডওয়াইফারি পেশায় বিদ্যমান শূণ্যতা পূরণের জন্য ও সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ও মিডওয়াইফারি এডুকেশন প্রোগ্রাম, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অফ পাবলিক হেলথ ব্রাক ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বলা হয়, মা ও শিশুমৃত্যু কমানো, অসুস্থ ও মৃতসন্তান প্রসবের হার কমিয়ে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ আগামীতে দেশের উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখবে মিডওয়াইফারি।
গবেষণা প্রতিবেদনে বাংলাদেশে মিডওয়াইফারি খাতে বিনিয়োগের গুরুত্বারোপ করে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে এই খাতের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।
এসময় বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতিতে মিডওয়াইফারি শিক্ষা, প্রয়োজনীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান তৈরি ও কাজের সঠিক পরিবেশ তৈরির ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষে ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার মো. নুরুজ্জামান বলেন, পেশাদার মিডওয়াইফারিদের দেওয়া পূর্নাঙ্গ সেবা মাতৃত্বকালীন পরিচর্যা, মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমাতে ও অপ্রয়োজনীয় সি সেকশন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখন সরকারকে পর্যায়ক্রমে সমগ্র দেশের মিডওয়াইফ সেবার পরীক্ষিত মডেলকে সম্প্রসারণ করতে হবে।
ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের দায়িত্বে থাকা ডা. শারমিনা রহমান বলেন, বাংলাদেশের মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে মিডওয়াইফারিরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশে তাদের পরিষেবার জন্য ২২ হাজারের বেশি মিডওয়াইফের নিয়োগ ও পদায়ন প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে মিডওয়াইফারি বিশেষজ্ঞ জয় কেম্প, বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার রাশিদা আক্তার, ডিজিএনএম এর ডিজি মাকসুদা নূর, সম্প্রতি বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ প্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. হালিদা হানুম আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন