Advertisement
Doctor TV

বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ মানেই পাগল নয় : বিএসএমএমইউ ভিসি

Main Image

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগ আয়োজিত র‌্যালিপূর্ব সমাবেশে বক্তৃতা করছেন ভিসি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ


মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ মানেই পাগল নয় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগ আয়োজিত র‌্যালিপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। শেখ রাসেল ফোয়ারার সামনে থেকে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সার্বজনীন অধিকার’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে র‌্যালিটি বের হয়।

র‌্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বি-ব্লকের সামনে শেখ রাসেল ফোয়ারা থেকে শুরু হয়ে এ ব্লক, টিএসসি, বেসিক ভবন প্রদক্ষিণ করে ডি ব্লকে গিয়ে শেষ হয়। 

অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের মূল উদ্দেশ্য জনগণকে সচেতন করা। মনে রাখতে হবে, নো হেলথ ইউথ আউট মেন্টাল হেলথ। আমাদের পাঁচটি মৌলিক অধিকার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও অন্যতম। 

সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্য বিএসএমএমইউর ভিসি বলেন, মানুষের শরীরের যেমন রেস্ট দরকার আছে, তেমন মানুষের হৃদয়, মনেরও রেস্ট দরকার আছে। হৃদয়ে সুখ না থাকলে ও মন খারাপ থাকলে শরীরও খারাপ থাকে। শরীর খারাপ থাকলে মানুষ কাজ করতে পারবে না। এতে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। তাই দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করতে শরীর ও মনের সুস্থতা জরুরি।

শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহাজাবিন মোরশেদ, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন শাহ্, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ ফারুক হোসেন, আবাসিক চিকিৎসক (আরপি) সহকারী অধ্যাপক ডা. তৌফিক আহমেদ প্রমুখসহ মনোরোগবিদ্যা বিভাগের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্সরা র‌্যালিতে অংশ নেন। 

প্রসঙ্গত, মানসিক সমস্যার মূল কারণ দারিদ্র্য, অসমতা, সহিংসতা, বৈষম্য। এসব সমস্যাকে ভয় না পেয়ে বরং মোকাবিলা করতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট কিছু সময় ব্যায়াম করতে হবে। তবেই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি মিলবে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষ নয়, বরং মৌলিক মানবাধিকার। তাই চিকিৎসকরা মনে করছেন, সবারই এই সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার আওতায় এসে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। ১৯৯২ সালে প্রথমবার এ দিনটি পালন করা হয়েছিল। সেই থেকে প্রতি বছরই ১০ অক্টোবর দিনটিকে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। শুরুতে দিবসটির কোনো নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য ছিল না। এর প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে কথা বলা এবং জনসাধারণকে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে শিক্ষিত করা।

আরও পড়ুন