Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


চিকিৎসা নিতে আসা ৮০ ভাগ শিশু হেপাটাইটিস-এ ভাইরাসে আক্রান্ত

Main Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হেপাটাইসিস রোগের চিকিৎসা নিতে আসা শিশু


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক বছরে হেপাটাইসিস রোগের চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের ৮০ ভাগই 'এ' ভাইরাসে আক্রান্ত। সংক্রমণ ঠেকাতে শিশুদের বাইরের খাবার না দেওয়ার পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচিতে হেপাটাইটিস-এ অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সূত্র: ইনডিপেডেন্ট টিভি অনলাইন। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, হেপাটাইটিস-বি কিংবা সি’র মতো, যকৃতের দীর্ঘমেয়াদী জটিলতার অন্যতম কারণ  হেপাটাইটিস-এ ভাইরাস।

গত এক বছরে বিএসএমএমইউয়ের পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগ থেকে হেপাটাইটিসের চিকিৎসা নেয়া প্রায় ৪০০ রোগীর মধ্যে ৩২০ জনের শরীরে হেপাটাইটিস-এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। উপরোক্ত তথ্য জানিয়ে বিএসএমএমইউয়ের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সুমিতা বিশ্বাস বলেন, এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি, এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।


চিকিৎসকদের মতে, দূষিত পানি আর খাবার গ্রহনের ফলে হেপাটাইটিস-এ ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। শুরুতেই চিকিৎসা না নিলে যকৃতের দীর্ঘমেয়াদী রোগে ভুগতে হয়। অনেকেই মারা যায়। 


বিএসএমএমইউয়ের পুষ্টি পরিপাকতন্ত্র ও লিভার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ওয়াহিদুজ্জামান মজুমদার হেপাটাইটিস-এ নিয়ে জানান, দেখা যায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্ডিস ভালো হয়ে গেলেও কমে না। দুই থেকে তিন মাস যাবৎ শরীর হলুদ থাকে। শরীরে মারাত্মক চুলকানির সমস্যাও দেখা দেয়। ফলে রাতে ঘুম হয় না ঠিকভাবে। অনেক সময় পেটে, বুকে বা ফুসফুসে পানি চলে আসে এবং জমে যায়। হেপাটাইটিস-এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পাঁচ শতাংশ রোগী থাকে মারাত্মক ঝুঁকিতে। যেটাকে বলা হয় একিউট লিভার ফেইলিউর, যার চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ চিকিৎসাসেবা বাংলাদেশে নেই।


নীরব ঘাতক এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। সংক্রমণ ঠেকাতে, শিশুদের বাইরের খাবার খাওয়ার ব্যাপারে অভিভাবকদের যথেষ্ট সচেতন হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।


সরকারের টিকা কর্মসূচির কারণে হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে দেশে। কর্মসূচিতে, হেপাটাইটিস-এ'র টিকাও অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানিয়েছে চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন