Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


দৃষ্টিহীন লিলির চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী

Main Image

পাবনার চাকলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে নতুন ঘর পাওয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী লিলি বেগমের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে নতুন ঘর পাওয়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী লিলি বেগমের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার ঘরের সঙ্গে সঙ্গে তার চোখের আলোও ফেরার আশা তৈরি হয়েছে।

বুধবার (৯ আগস্ট) দেশের তিন জেলায় গৃহহীনদের ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পাবনা অংশ থেকে কথা বলেন ঘর পাওয়া উপকারভোগী লিলি বেগম।

ঘর পাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে লিলি বেগম বলেন, আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে পেরে খুবই আনন্দিত। আমি আপনাকে দেখতে পারতেছি না। তবু আমি আজ খুবই খুশি। আমার বাবা বাড়িঘর বিক্রি করে আমার চিকিৎসা করেছেন। চোখের চিকিৎসা করতে গিয়ে আমার দুটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। আমার বাবা আর চিকিৎসা করাতে পারেননি। পরের বাড়িতে খুব কষ্ট করে কয়েকবছর বসবাস করেছি। আমি কখনও ভাবিনি যে আমার ঘরবাড়ি হবে।

আমি প্রতিবন্ধী ভাতা পাই। আপনি আমাকে একটা স্বপ্নের বাড়ি উপহার দিয়েছেন। আমি রাত হলে ঘুমাতে পারতাম না, আমার মা-বাবা আমার কারণে পরের বাড়িতে বাস করেন। আমি মা-বাবার সঙ্গে সন্তান নিয়ে আপনার রাজপ্রাসাদে খুব শান্তিতে আছি। আমি নিরাপদ আছি, আমি খুবই খুশি। আমার আর কোনো বাড়িঘরের কষ্ট নেই।

লিলি বেগম বলেন, আমার বাচ্চা বলে এটি আমাদের বাড়ি, এটি আমাদের মায়ের বাড়ি। আপনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করেছেন। আপনি আমাদের গর্ব ও অহংকার।

লিলি আরও বলেন, আপনি আমার ছেলের জন্যে দোয়া করবেন। ওর বয়স যখন ৭ মাস, তখন আমি অন্ধ হয়ে যাই। ওর বয়স এখন ৮ বছর, আমি অনেক কষ্টে ছেলেকে লেখাপড়া করাচ্ছি। আপনি ভালো থাকবেন, আমাদের জন্যে দোয়া করবেন।


লিলির বক্তব্য শেষে আবেগ আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী জানতে চান তার চিকিৎসা কোথায় করানো হয়েছিল। লিলি তখন বলেন, আমি ঢাকার গাজীপুরে থাকতাম। গার্মেন্টেসে কাজ করতাম। আমাকে সর্বশেষ ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পরে চোখ নষ্ট হয়ে যায়। পরে আমার পরিবার আর চিকিৎসা করাতে পারছিল না বলে গ্রামে নিয়ে এসেছে এবং আমি এখন গ্রামেই থাকছি।

তখন প্রধানমন্ত্রী চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চোখ দেখানোর কথা বলেন। তিনি বলেন, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে করলে ভালো হতো। এর প্রেক্ষিতে পাবনার জেলা প্রশাসক বলেন, স্যার আমরা ব্যবস্থা নেব।

লিলি বলেন, আমি খুবই ধন্য। আজ আপনি আমার মা-বাবার মতো আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, তোমার চিকিৎসা করব। দেখব চেষ্টা করে।

পরে মূখ্য সচিব লিলি বেগমকে ঢাকা আনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।

পাবনা জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, বিভাগীয় কমিশনারসহ সংসস সদস্য ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। গণভবন প্রান্ত থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

আরও পড়ুন