Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


৭৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকার বাজেট পাচ্ছে বিএসএমএমইউ

Main Image

বিএসএমএমইউর ৯০তম সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের জন্য ৭শ’ ৬৭ কোটি ২১ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৫শ’ ৭২ কোটি ৫ লাখ। আগের বছরের চাইতে এবার বাজেটের আকার বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। 

সোমবার (২৬ জুন) শহীদ ডা. মিল্টন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ৯০তম সিন্ডিকেট সভায় এই বাজেট অনুমোদিত হয়।

এবারের বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাখাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। গত বছরে যা ছিল ১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রশিক্ষণখাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা। বাজেটে চিকিৎসা ও শৈল্য খাতে (এমএসআর) ২৪ কোটি থেকে বৃদ্ধি করে ৪২ কোটিতে উন্নীত করা হয়েছে।

সিন্ডিকেট সভায় দেশের একমাত্র সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল বিলম্বে চালুর জন্য মূলত যথাসময়ে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না আসার বিষয়টি সিন্ডিকেটে তুলে ধরা হয়। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছিলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সকল যন্ত্রপাতি চলে আসবে এবং সে অনুসারেই প্রধানমন্ত্রী এই হাসপাতালের উদ্বোধন করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবতা হলো ডায়লাইসিস মেশিন, এ্যানেসথেশিয়া মেশিন, এইচআইএস, আর্থোস্কপিক মেশিনসহ এ জাতীয় অত্যন্ত জরুরি মেডিকেল যন্ত্রপাতি না পাওয়ার কারণেই মূলত এই হাসপাতালটির অন্তঃবিভাগ চালু করতে বিলম্ব হয়। তবে ইতোমধ্যে সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শসেবা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার সু ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার রোগী সেবা নিয়েছেন। সেখানে এমআরআই, সিটি স্ক্যান, বিএমডিসহ প্রায় ৪০ হাজার টেস্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। সভায় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ ও বাজেট সংক্রান্ত বিষয় সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।

এসময় জানানো হয়, আগামী মাসের (জুলাই) ৫ তারিখে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের রোগী ভর্তি ও অপারেশন কার্যক্রম চালু করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের উপস্থিতিতে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের রোগী ভর্তি ও অপারেশন কার্যক্রম চালু করা হবে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য অত্যন্ত আবশ্যিক বিষয় হল এনাটমি, ফিজিওলজিসহ বিভিন্ন বেসিক কোর্স। এই গুরুত্ব অনুধাবন করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন বেসিক কোর্সসমূহে পূর্বের তুলনায় ৩৫ শতাংশ বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় এবং যা আজকের সিন্ডিকেটে অনুমোদিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স ও কর্মচারীরা দীর্ঘদিন তাঁদের প্রাপ্য ঝুঁকিভাতা থেকে বঞ্চিত ছিল। বর্তমান প্রশাসন তাঁদের ন্যায় দাবির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বছরে ২টি ঝুঁকিভাতা চালু করেছে এবং এই বিষয়টিও আজকের সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ভাতার (শিক্ষা বৃত্তি) পরিমাণ বৃদ্ধি করার প্রয়োজন উল্লেখ করে সিন্ডিকেটে দাবি করা হয়েছে।

সিন্ডিকেট সভায় বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।

সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি, বেগম ফরিদা খানম এমপি, বিএমডিসির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিসিপিএস এর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা, প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, সিন্ডিকেট সদস্য অতিরক্তি সচিব একেএম নুরুন্নবী কবির, অতিরিক্ত সচিব মোঃ বেলায়েত হোসেন তালুকদারসহ অনেকে। 

আরও পড়ুন