Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের দাবিগুলো যৌক্তিক : অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ

Main Image

বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টি ফোরে আয়োজিত এক লাইভ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ


আন্দোলনরত পোস্ট গ্রাজুয়েট চিকিৎসকদের দাবিগুলোকে যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। আজ শুক্রবার বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টি ফোরে এক লাইভ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন। 

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ জানান, রেসিডেন্টদের কথাগুলো মিডিয়ার মাধ্যমে  জানলাম। আসলে তারা কিন্তু অযৌক্তিক কোন দাবি করেননি। যদিও কিছু কথা উঠেছে- তারা ঘেরাও করেছে- এটা ওটা করেছে- আসলে কিন্তু বিষয়টা এমন না। তাদের ৫ বছরের কোর্স- কিন্তু সেটা তো নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় না। অনেকেরই ৬/৭ বছর লেগে যায়। কোর্সের সিস্টেমটাই এমন যে, তারা বাইরে কোথাও প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। এই সময়ে তাদের টাকাগুলো কোত্থেকে আসবে। সবার বাবা-মায়ের তো টাকা নাই। 

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আরও বলেন, তাদেরকে এমবিবিএস পাস করে এক বছর ইন্টার্ন করতে হয়েছে। এরপর এমডি-এমএস করার জন্য ২/৩ বছর প্রিপারেশন নিতে হইছে। বিষয়টা তো সহজ না। কঠিন একটা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদেরকে চান্স পেতে হয়েছে। কোর্স চলাকালে তাদের জন্যে একটা ভাতা দেয়া হয়। আগে ১০ হাজার দেয়া হতো। পরে তা ২০ হাজার করা হয়। ৯ মাস ধরে ভাতা বন্ধ। এতে তাদের কষ্ট হয় না?  

বাইরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস নাই। টাকা নাই। বাবা-মায়ের কাছ থেকে কত টাকা নেয়া যায়। সবারই ৩০ বছরের ওপরে বয়স। সংসার চালাতে হয়। হাসপাতালে নিয়মিত ডিউটি করতে হয়। রোগীদের চিকিৎসা দেয়া, স্যারদের কাছে পড়ালেখা করা, ওয়ার্ডে যাওয়া সবই তো করতে হয়। তাদের কাজ কিন্তু ২৪ ঘন্টার। যেকোন সময় কল করে তাকে হাসপাতালে আসতে বলা হয়। 

নিয়মিত ভাতা পাওয়া ও ভাতা বাড়ানোর যে দাবি সেটা তো সম্পূর্ণ যৌক্তিক। বাজারে সবকিছুর দামই বেড়ে গেছে। ২০ হাজার টাকায় তো তাদের চলে না। ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, কারোরই এই টাকায় চলে না। বিয়ে-শাদী করেছে। বাচ্চা-সংসার আছে। তাদের দাবি হচ্ছে টাকাটা বাড়ানোর। তারা ৫০ হাজার টাকার দাবি জানিয়েছেন। 

টাকাটা বাড়ানো হলে এবং সময় মত পেলে তারা সার্ভিসটা ঠিকমত দিতে পারবেন। অফিসিয়ালি তারা ৫ বছরের জন্য বাইরে কোথাও প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। এখন যদি টাকাটা বাড়ানো হয় তাহলে মনোযোগ সহকারে সার্ভিসটা দিতে পারবেন। 

আশা করছি কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সদয় হবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ।

আরও পড়ুন