Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


এন্টিবায়োটিকের অতিরিক্ত ব্যবহারে উদ্বিগ্ন হাইকোর্ট

Main Image

ডাক্তার সহকারীরা তাদের ব্যবস্থাপত্রে এন্টিবায়োটিক লিখতে পারবেন কিনা- এ বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত


এন্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে অচিরেই এ দেশের মানুষ ওষুধ গ্রহণের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবেন। বুধবার (৭ জুন) ভুয়া ডাক্তারের সাজা বৃদ্ধির নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে আনা রিট পিটিশনকালে হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন। রিটটি চূড়ান্ত শুনানির জন্য রুল প্রস্তুত করার নির্দেশ দেয়া হয়। 

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপিত হয়।

ডাক্তার সহকারীরা তাদের ব্যবস্থাপত্রে এন্টিবায়োটিক লিখতে পারবেন কিনা- এ বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন আদালত। 

রিটের পক্ষে আইনজীবী মো. জে. আর. খান রবিন বলেন, ভুয়া ডাক্তারের সাজা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনস্বার্থে রিট পিটিশন দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে রুল জারি করেছেন আদালত। মেডিকেল সহকারীরা তাদের ব্যবস্থাপত্রে এন্টিবায়োটিক ওষুধ লেখার লক্ষ্যে জারি করা রুল মডিফিকেশান চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু আদালত তা না শুনে নথিতে রক্ষিত রাখেন। সেইসাথে রুল শুনানির সময় আবেদন বিষয়ে শুনবেন বলে জানান।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর ভুয়া ডাক্তারের সাজা বৃদ্ধি চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিটটি করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. জে. আর. খান রবিন।

প্রাথমিক শুনানি শেষে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে আদেশ দেন। ভুয়া ডাক্তারের সাজা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতাকে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং কেন ভুয়া ডাক্তারের সাজা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্দেশ প্রদান করা হবে না- মর্মে কারণ দর্শাতে রুল জারি করেন আদালত।

পাশাপাশি দেশে বিরাজমান ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আদালতকে তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দেয়া হয়।

এর পর ১৬ জন মেডিকেল সহকারী উক্ত রিটে পক্ষ হয়ে জারি করা রুল মডিফিকেশানের জন্য আবেদন জানান। 

আরও পড়ুন