Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫


স্থায়ী চাকরির দাবিতে পঞ্চন দিনেও অনড় ইআরপিপি কর্মীরা

Main Image


কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপার্ডনেস (ইআরপিপি) প্রকল্পের আউটসোর্সিং কর্মীরা আজ পঞ্চন দিনের মতো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। চাকরি স্থায়ীকরণ এবং রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সকাল ১০টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেছেন।

 

আন্দোলনরত কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে, পাঁচ দিন ধরে তাদের এই কর্মসূচি চললেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বা তাদের দাবির বিষয়ে কোনো সাড়া দেননি। তারা বলছেন, করোনা মহামারির কঠিন সময়ে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করার পর এখন তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

 

এই কর্মীদের মধ্যে ১৬ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ৮০ জন মেডিকেল অফিসার (আইসিইউ), ৩০ জন ল্যাব কনসালট্যান্ট, ১৫০ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স, ১২৬ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ১৯০ জন ডাটা অপারেটর, ৫১ জন ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট, ১০৪ জন ওয়ার্ড বয়, ১০৩ জন আয়া এবং ১৫১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। তারা রাজধানীতে ২৫৯ জন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে ১৫৩ জন এবং জেলা শহরে ৫৯২ জন হিসেবে কোভিড ও ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন।

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে ধাপে ধাপে ইআরপিপি প্রকল্পে এই জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তাদের পারিশ্রমিক ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছিল। যদিও প্রকল্পের মেয়াদ চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যায়। এরপর ৭ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত স্টিয়ারিং কমিটির ১৩তম সভায় ইআরপিপি প্রকল্পের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে জুন পর্যন্ত বর্ধিত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ভিত্তিতে কর্মীদের মৌখিকভাবে দায়িত্বে বহাল থাকতে বলা হয়েছিল। তবে কর্মীদের গুরুতর অভিযোগ, জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত নিয়মিত কাজ করলেও তারা কোনো বেতন পাননি। এই পরিস্থিতিতে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।

 

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট জনবল জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত অনুপস্থিত ছিল। কিন্তু ইআরপিপির কর্মীরা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, তারা নির্ধারিত সময়ে কাজ করেছেন এবং হাজিরাশিট যথাযথভাবে পাঠানো হয়েছে। এই মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন তারা।


 

আরও পড়ুন