Advertisement
Doctor TV

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫


বছরে থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মায় ১০ হাজার শিশু

Main Image

দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ-ই থ্যালাসেমিয়া জীবাণু বাহক।


দেশে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। বর্তমানে রোগটিতে আক্রান্ত শিশু-কিশোরের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২ শতাংশ-ই এই রোগের জীবাণু বহন করছে। সে হিসাবে প্রতি ১৪ জনে একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক রয়েছে।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন এবং বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (বিআরএফ) এসব তথ্য জানিয়েছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, দুরারোগ্য এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় রোগের বাহক নারী-পুরুষের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করা। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীকে প্রতিনিয়ত অন্যের রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়। বারবার রক্ত নিতে গিয়ে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এছাড়া দেশের বেশিরভাগ রোগী পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে ১০-১৫ বছর বয়সের মধ্যে মারা যান।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে চট্টগ্রাম, বরিশাল, নোয়াখালী ও খুলনা অঞ্চলে থ্যালাসেমিয়া রোগী বেশি।

এ বিষয়ে বিএসএমএমইউ এর হেমাটোলজি বিভাগের গবেষণা সহকারী ডা. কাজী মুহাম্মদ কামরুল ইসলাম জানান, থ্যালাসেমিয়া রোগের কিছু অঞ্চল আছে। যেমন ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডে এই রোগ বেশি। আবার বাংলাদেশের ভেতর থ্যালাসেমিয়া রোগীর কিছু অঞ্চল আছে। যেমন কুমিল্লা ও নোয়াখালী মিলে একটা বেল্ট, উত্তরবঙ্গ একটি বেল্ট। এই দুই বেল্টে থ্যালাসেমিয়া রোগী বেশি।

এমন অবস্থার মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সচেতন হই, প্রচার করি, যত্ন নিই’।

আরও পড়ুন