Advertisement
Doctor TV

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫


বায়ুদূষণে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বছরে ২০ লাখ মৃত্যু

Main Image

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে বায়ুদূষণে বছরে ২০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়


দূষণের দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কয়েকটি শহর সামনের সারিতে রয়েছে। দ্য ইকোনমিস্ট জানায়, বায়ুদূষণ ঠেকাতে চীনের সম্প্রতি অগ্রগতি বহু মানুষের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক শিক্ষা হতে পারে।

২০০৮ সালে অলিম্পিক আয়োজনের আগে বেইজিং বিষাক্ত ধোঁয়ায় এতটাই আচ্ছন্ন ছিল যে, ক্রীড়াবিদদের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য কারখানা বন্ধ করতে ও রাস্তাগুলো খালি করতে বাধ্য হয়েছিল। পরে বেইজিং তিয়ানজিনসহ ২৬টি সংলগ্ন বিস্তৃত এলাকায় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।

এই উদ্যোগ দেশটিতে বায়ুদূষণ ঠেকাতে অনেক বেশি টেকসই অগ্রগতি নিয়ে এসেছে। ২০২১ সালে বেইজিংয়ে ‘বিপজ্জনক’ অতিক্ষুদ্র কণার ২ দশমিক ৫ গড় ঘনত্ব ২০১৫ সালের তুলনায় অর্ধেকে চলে আসে।

চীনের এই উদ্যোগ কেবল অনুপ্রেরণাই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য একটি অন্যন্য মডেলও। এই অঞ্চলে বিশ্বের দশটি সবচেয়ে দূষিত শহরের মধ্যে ৯টিই রয়েছে। এসব শহরের নাগরিকদের জন্য যা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানে বায়ুদূষণে বছরে ২০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। ২০১৯ সালে দূষণ-সম্পর্কিত অসুস্থতা বা মৃত্যুর কারণে শুধু ভারতেই খরচ হয়েছে ২৭ বিলিয়ন বা জিডিপির ১ দশমিক ৪ শতাংশ।

বিশ্ব ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার এয়ারশেডের ৬টি চিত্র এঁকেছে। বিশেষ করে বিশাল এলাকা, রাজ্য এবং পৌরসভা সংলগ্ন ছয়টির মধ্যে চারটি জাতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে। এসবের একটি পূর্ব ইরান থেকে পশ্চিম আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত। আরেকটি উত্তর ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বলা চলে, দূষণের কোনো সীমানা প্রাচীর নেই।

আরও পড়ুন